২০০৬ সালের জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ভেন্যুর মর্যাদা পায় বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম। আন্তর্জাতিক ভেন্যুর স্বীকৃতির পর শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ৫টি এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন হয়, যার ৪টিতেই জিতে যায় বাংলাদেশ। সেই থেকে স্টেডিয়ামটি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য আশীর্বাদ হয়ে ওঠে। কিন্তু ওই বছরের ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডের পর এখানে আর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি।
দীর্ঘ প্রায় ১৮ বছর পর শহীদ চান্দু ষ্টেডিয়ামে তারকা খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণে ক্রিকেটের বন্ধ্যাত্ব ঘুচতে যাচ্ছে। এই মাঠেই আজ রোববার শুরু হতে যাচ্ছে জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। উদ্বোধনী ম্যাচে রাজশাহী লাল ও রাজশাহী সবুজের দল মুখোমুখি হবে।
বেলা ১১টায় শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করবেন জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক দুই অধিনায়ক মোহাম্মাদ আশরাফুল এবং তামিম ইকবাল। সঙ্গে থাকবেন জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামও।
জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আসর নিয়ে শনিবার বিকেল চারটায় শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির আহবায়ক ও বিসিবির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
প্রেস ব্রিফিংয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, সারা দেশে বিএনপির ১০টি সাংগঠনিক বিভাগ থেকে ২০টি দল জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। রাজশাহী, ফরিদপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, ঢাকা, রংপুর ও সিলেট প্রতিটি সাংগঠনিক বিভাগেই লাল ও সবুজ নামে দুটি করে দল হবে। প্রতিটি বিভাগের দুটি দল নিজেদের মধ্যে একটি করে ম্যাচ খেলবে। ১০ ম্যাচের ১০ জয়ী দলের সঙ্গে মূল পর্বে যোগ হবে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ দল। বিভাগীয় পর্যায়ের খেলাগুলো বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা শহরে হলেও ১৬ জানুয়ারি মূল পর্ব শুরু হবে ঢাকায়।
রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ১৯ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্মদিনে মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবির সহযোগিতায় টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধনী ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করবে বেসরকারি টেলিভিশন টি-স্পোর্টস।
সংবাদ সম্মেলনে ক্রিকেটারদের সংগঠন কোয়াবের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম, টুর্নামেন্টের উপদেষ্টা মীর শাহে আলমসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।