রূপগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ক্যাম্পে আগুন

আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর পুড়িয়ে দেওয়া নির্বাচনী ক্যাম্প। শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়ার নাওড়া এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত আটটার দিকে উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব নাওরা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আওয়ালের দাবি, শুক্রবার দিনভর ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়া কায়েতপাড়ার বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন। গণসংযোগ শেষে তাঁর অনুসারী কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মোশাররফ হোসেন দলবলসহ ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে আগুন দেন।

ঘটনার দুজন প্রত্যক্ষদর্শী প্রথম আলোকে জানান, রাতে ক্যাম্প এলাকায় হইচই শোনে তাঁরা ঘর থেকে দৌড়ে বের হয়ে আসেন। পরে দেখেন, নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হচ্ছে। এ সময় তাঁরা ক্যাম্পের ভেতরে আগুন দেখতে পান। পরে নৌকার সমর্থকেরা গিয়ে আগুন নেভান।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বাসিন্দাদের সূত্রে জানা যায়, মোশাররফ হোসেন এবারের নির্বাচনে রূপগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়ার হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। গতকাল শাহজাহান ভূঁইয়ার সঙ্গে কায়েতপাড়ার চনপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শেষে রাতে নাওরা এলাকায় আসেন। গণসংযোগের সময় এলাকার লোকজন দোকানপাট বন্ধ করে চলে যান। এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে মোশাররফ দলবল নিয়ে এসে ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে ক্যাম্পে রাখা নৌকার পোস্টারে আগুন ধরিয়ে দেন।

রূপগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, মোশাররফ হোসেন পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণসহ ৪০টিরও বেশি মামলা রয়েছে। ‘মোশা বাহিনী’ নামে রূপগঞ্জে তাঁর একটি সক্রিয় বাহিনী রয়েছে। কয়েক মাস আগে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মোশাররফ আলোচনায় আসেন। পরে তিনি র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন। সম্প্রতি জামিনে বের হয়েছেন।

তবে আগুন দেওয়ার ঘটনায় জড়িত নন বলে জানিয়ে মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তাঁকে এলাকাছাড়া করতে আওয়ামী লীগের লোকজনই ক্যাম্পে আগুন দিয়েছেন। তাঁরা আরিফ নামের স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থককে মারধর করেছেন বলেও মোশাররফ হোসেনের দাবি।

এ বিষয়ে কথা বলতে স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজাহান ভূঁইয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। আমরা ঘটনার তদন্ত করে বিস্তারিত বলতে পারব। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’