গাজীপুরের শ্রীপুরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দুটি জেব্রাশাবকের জন্ম হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেব্রার পালে নতুন একটি শাবক পার্ক কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। এর আগে গত রোববার অপর জেব্রাশাবককে পালে দেখা যায়। এ নিয়ে পার্কে জেব্রার সংখ্যা দাঁড়াল ৩০টিতে।
সাফারি পার্কের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পার্কের কোর সাফারি অংশে দায়িত্বরত কর্মীরা তিন দিনের ব্যবধানে জেব্রার পালে দুটি শাবক দেখতে পান। নতুন শাবকের জন্ম হলে সাধারণত মা জেব্রারা খুবই সতর্ক থাকে। শাবক নির্দিষ্ট কিছুদিন সার্বক্ষণিক মায়ের পাশাপাশি অবস্থান করে। এ ছাড়া মায়েরাও এ সময় শাবকের নিরাপত্তায় তাদের পালের অন্যান্য জেব্রা থেকে কিছুটা দূরে অবস্থান করে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৩ সালে সাফারি পার্ক প্রতিষ্ঠার সময় দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কিছু জেব্রা আমদানি করা হয়। এরপর বিভিন্ন সময় জেব্রার বাচ্চা হয়েছে। রোগাক্রান্ত হয়ে কিছু জেব্রার মৃত্যুও হয়েছে। বর্তমানে সাফারি পার্কে প্রাপ্তবয়স্ক জেব্রার সংখ্যা ২৮টি। এর মধ্যে ১৪টি স্ত্রী ও ১৪টি পুরুষ। নতুন দুই শাবকসহ সাফারি পার্কে জেব্রার সংখ্যা দাঁড়াল ৩০টিতে। জেব্রা তাদের স্বতন্ত্র সাদা-কালো ডোরার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত।
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, জেব্রা সাধারণত একটি করে বাচ্চা প্রসব করে। জেব্রাশাবক সাত থেকে আট মাস ধরে মায়ের দুধ পান করে। এরা পাল ধরে ঘুরে বেড়ায়। নতুন সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পালের অন্য সদস্যরা। একটি নারী জেব্রা ১২ থেকে ১৩ মাস গর্ভকাল পার করে। সাফারি পার্কের কোর সাফারি অংশে জেব্রার সঙ্গে জিরাফ, গ্যাজেল কমনইল্যান, চিত্রা হরিণ, মায়া হরিণ, সাম্বার বসবাস করে। এরা প্রকৃতিতে ২০ বছর বাঁচলেও আবদ্ধ জোনে ৪০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার রের্কড রয়েছে।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নতুন জন্ম নেওয়া শাবক দুটি ভালো আছে। মা ও শাবকগুলোর প্রতি নজর রাখা হচ্ছে। বর্তমানে সাফারি পার্কে থাকা বেশির ভাগ জেব্রার জন্ম পার্কেই হয়েছে। অনুকূল পরিবেশ পাওয়ায় এরা নিয়মিত বংশবিস্তার করছে।