হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান ওরফে সজীবের বিরুদ্ধে চাহিদামতো ঠিকাদারির বিল না দেওয়ায় একজন সরকারি কর্মকর্তাকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল ভৌমিক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ দুপুরে নিজের একটি ঠিকাদারি কাজের বিল নিতে আজমিরীগঞ্জে এলজিইডি কার্যালয়ে যান উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান। এ সময় তিনি এলজিইডি কার্যালয়ের জেনারেল ফ্যাসিলিটেটর মোশারফ হোসেনের কাছে তাঁর (মমিনুর) কথামতো বিল তৈরি না হওয়ার কারণ জানতে চান। এ নিয়ে তাঁদের দুজনের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মোশারফের গায়ে হাত তোলেন ভাইস চেয়ারম্যান। ইউএনও কার্যালয়ের পাশে এলজিইডি কার্যালয়। হট্টগোল শুনে ইউএনও জুয়েল ভৌমিক ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
ইউএনও জুয়েল ভৌমিক বলেন, বিশৃঙ্খলার শব্দ শুনে তিনি ঘটনাস্থলে যান। এলজিইডি কার্যালয়ে গিয়ে তিনি উত্তপ্ত পরিবেশ দেখতে পান। কর্মকর্তারা দাবি করেন, তাঁর ওপর হামলা হয়েছে। পরে তিনি ভাইস চেয়ারম্যানকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসেন।
মারধরের শিকার মোশারফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মমিনুর রহমান এলজিইডির অধীন একটি সড়ক মেরামতের কাজ করেন। তাঁর চাহিদা অনুযায়ী বিল না দেওয়ায় তিনি কার্যালয়ে এসে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের গালিগালাজ করেন এবং টেবিলের গ্লাস ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে তাঁকে (মোশারফ) মারধর করেন। এতে তাঁর চোখে আঘাত লাগে।
অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মমিনুর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাঁদের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক। ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমি পরে সেখানে যাই।’
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুক আলী প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনি কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।