চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন এলাকায় যানজটমুক্ত করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নোটিশের পর নিজেরা দোকানের মালামাল গুটিয়ে নিলে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গতকাল দুপুরে
চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন এলাকায় যানজটমুক্ত করতে  সড়ক ও জনপথ বিভাগের নোটিশের পর নিজেরা দোকানের মালামাল গুটিয়ে নিলে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গতকাল দুপুরে

অবশেষে যানজটমুক্ত হচ্ছে রাঙ্গুনিয়ার গোডাউন মোড়

সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গোডাউন মোড়ের অবৈধভাবে নির্মিত ২০টি দোকান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের লোকজন দোকান উচ্ছেদ করতে গেলে মালিকেরা নিজেরাই দোকানের পণ্য সরিয়ে নেন। আজ শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলার কাজ।

সম্প্রতি ‘বিশৃঙ্খল মোড়ে নিয়ন্ত্রণ নেই কারও’ শিরোনামে প্রথম আলো পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই অবৈধ দোকান সরিয়ে নিতে মালিকদের নোটিশ দেয় সওজ।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান মেহেবুব বলেন, যানজটমুক্ত করতে গোডাউন মোড়ের অটোরিকশার স্টেশনটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। মোড় প্রশস্তকরণসহ সড়কের পাশে অবাধ পানি চলাচলের জন্য ড্রেন নির্মাণের কাজও করা হচ্ছে। অচিরেই অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে গোডাউন মোড়সহ অন্যান্য ব্যস্ততম মোড়কে যানজটমুক্ত করা হবে।

স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার গোডাউন এলাকা ব্যস্ত একটি মোড়। গোডাউন মোড় হয়ে সরফভাটার পদুয়া দিয়ে বান্দরবান জেলায় যাতায়াত করা যায়। রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার লোকজন চট্টগ্রাম শহরে যেতেও এই মোড় ব্যবহার করেন। এখানে যানজট লাগলে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় বলে জানান যাত্রীরা। শিশু ও বয়স্করা তখন বেশি দুর্ভোগে পড়েন।

চট্টগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. ইউনুছ প্রথম আলোকে বলেন, কিছুদিন আগে অবৈধ দোকানগুলো সরিয়ে নিতে নোটিশ দেওয়া হয়। আশা করছি, দুই দিনের মধ্যে সব দোকান সরিয়ে নেওয়া হবে।