আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফলাফল প্রকাশের দাবিতে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন রাজশাহী অঞ্চলের নার্সিং কলেজের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশনে বসেন। বিকেলে দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসের পর অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি, ক্লাস ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা শেষ হওয়ায় তাঁরা এখন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে তাঁদের পরীক্ষা নিয়ে ফলাফল দিতে হবে। রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা অঞ্চলের দুটিসহ মোট ২৩টি নার্সিং কলেজ রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। এগুলোর মধ্যে চারটি সরকারি নার্সিং কলেজ আছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের একই শিক্ষাবর্ষের (২০১৯-২০) শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। কিন্তু তাঁরা এখনো পরীক্ষার কোনো আভাস পাচ্ছেন না। সেপ্টেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা ও ফলাফল না পেলে তাঁরা ছয় মাসের ইন্টার্নশিপ করতে পারবেন না। আর এটি ছাড়া আগামী বছরের মার্চে নার্সিং নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন না তাঁরা। তাই সেপ্টেম্বরের মধ্যেই পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ প্রয়োজন।
এ প্রসঙ্গে রাজশাহী নার্সিং কলেজের ছাত্র আল আমিন বলেন, তিনি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন। ২০২৩ সালে তাঁদের চূড়ান্ত পরীক্ষা শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের মাঝামাঝি হয়ে যাচ্ছে। তাঁদের পরীক্ষার দাবি জানাতে হচ্ছে। এটা দুঃখজনক।
রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ জেড এম মোস্তাক হোসেন আশ্বাস দেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষা শুরু হবে এবং অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। পরে বেলা পৌনে তিনটার দিকে পরীক্ষার বিষয়ে নোটিশ প্রকাশ করা হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করেন।
দিনাজপুর নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী মাহজিবা তারান্নুম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বৃষ্টিতে ভিজেও তাঁরা কর্মসূচি পালন করেছেন। তাঁরা চান, দ্রুত তাঁদের পরীক্ষা ও ফলাফল দেওয়া হোক। একই কলেজের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল সাদাত বলেন, পরীক্ষার দাবি নিয়ে তাঁরা রংপুর, দিনাজপুর ও লালমনিরহাট থেকে এসেছেন। পরীক্ষার রুটিন নিয়ে ফিরবেন।
পরে আজ বেলা দুইটার দিকে আন্দোলন ও অনশনকারীদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ জেড এম মোস্তাক হোসেন। তিনি শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষা শুরু হবে এবং অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে। পরে বেলা পৌনে তিনটার দিকে পরীক্ষার বিষয়ে নোটিশ প্রকাশ করা হলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে চলে যান।
এ প্রসঙ্গে রংপুর নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী মো. আবু রায়হান বলেন, উপাচার্য তাঁর কথা রেখেছেন। তিনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফিরে গিয়েই নোটিশ দিয়েছেন।