ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের রংপুরের দমদমা সেতুর কাছে লেন পরিবর্তনের ব্যবস্থা রাখার দাবিতে আবারও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দমদমা এলাকায় রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (আরটিটিসি) সামনে এই সড়ক অবরোধ করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী এই বিক্ষোভে ওই স্থান দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে উভয় পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়।
বক্তারা বলেন, ওই মহাসড়কের ছয় লেন প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের দিকে। এর মধ্যে রংপুর মডার্ন মোড় থেকে দমদমা সেতু এলাকা প্রায় তিন কিলোমিটার। এই মহাসড়কের দুই পাশে কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। এ ছাড়া এর এক পাশে আরটিটিসি, অন্য পাশে তালুক তামপাট উচ্চবিদ্যালয় ও ধর্মদাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত। কিন্তু মহাসড়কে লেন পরিবর্তনের জন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এতে তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও মহাসড়কের দুই পাশের ছয় হাজার স্থানীয় বাসিন্দারা সমস্যায় পড়ছেন। তাঁরা লেন পরিবর্তনের ইউলুপ বা ইউটার্ন চান।
সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য দেন শাহাদাত হোসেন, সাইয়াদুল মমিন, আরটিটিসির ছাত্র মফিজুল ইসলাম, মিনহাজুল ইসলাম প্রমুখ।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গত ১২ নভেম্বর স্থানীয় বাসিন্দা ও রংপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীরা ওই এলাকায় চার লেনের ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে লেন পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করেন। কিন্তু কার্যকরী কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে সেখানে সাসেক সড়ক সংযোগ-২ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ফিরোজ আখতার, উপপ্রকল্প ব্যবস্থাপক নাসিদ হাসান, রংপুরের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম সরদার ও সেনাবাহিনীর একটি দল যায়। তাঁরা শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন।
ওসি শাহ আলম সরদার প্রথম আলোকে বলেন, সাসেক কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আপাতত সমস্যা সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারিভাবে ইউটার্ন না হওয়া পর্যন্ত আরটিটিসির পাশে লেন পরিবর্তনের জন্য সড়ক বিভাজক খুলে দেওয়া হবে। ঘণ্টাখানেক সড়ক অবরোধের পর এই আশ্বাসে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেন।
সাসেক সড়ক সংযোগ-২ প্রকল্পের উপপ্রকল্প ব্যবস্থাপক নাসিদ হাসান বলেন, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ইউলুপের দাবি করেছেন। কিন্তু তাঁদের প্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে। তাই ইউলুপ বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। ইউলুপের জন্য শিক্ষার্থীদের সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সিনিয়র সচিবের কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে।