ফেনীতে রেস্তোরাঁয় ঢুকে মালিকসহ চারজনকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ২

হামলার সময় সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর করে রেস্তোরাঁ। শনিবার সন্ধ্যায় ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে
ছবি: প্রথম আলো

ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে অবস্থিত ধানসিঁড়ি রেস্তোরাঁয় ঢুকে মালিক, ব্যবস্থাপকসহ চারজনকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে রেস্তোরাঁর মালিক আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার পর রাতেই ফেনী পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার দুজন হলেন সাব্বির হোসেন ও মো. সৈকত। এ ছাড়া মো. নোমান নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে নোমানের সম্পৃক্ততা আছে কি না, পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ফেনী শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের পাঠানবাড়ী সড়কের মাথায় অবস্থিত ধানসিঁড়ি রেস্তোরাঁয় নাহিয়ান, সৈকত, সুজন, সাব্বির ও জোবায়ের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এ সময় রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর চালানো হয়। রেস্তোরাঁর মালিক, ব্যবস্থাপক, দুই কর্মচারীসহ চারজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করা হয়। নাহিয়ান, সুজন, সাব্বির, জোবায়েরসহ মামলার বেশির ভাগ আসামি যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী। তাঁরা ফেনী পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ওরফে পিটু বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচিত। তাঁদের একাংশ সক্রিয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য।

আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী।

ফেনী পৌরসভা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে গত ২৭ সেপ্টেম্বর অন্য এক মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি বর্তমানে ফেনী কারাগারে আছেন।