ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় একটি বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের স্তম্ভ (পিলার) নির্মাণের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক পলাতক।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন সরাইল উপজেলা সদরের নিজসরাইল গ্রামের লোকমান হোসেন (২৯), আমজাদ মিয়া (২৮) ও শরিফ মিয়া (১৭)। তাঁদের লাশ স্বজনেরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বাড়িতে নিয়ে গেছেন।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে থানা–পুলিশ জানায়, সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামের বরকত আলীর বাড়িতে কয়েক দিন ধরে নির্মাণকাজ চলছিল। আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বাড়ির সীমানাপ্রাচীরের জন্য একটি স্তম্ভ (পিলার) নির্মাণ করছিলেন তাঁরা। বরকত আলীর বাড়ির সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের জায়গার ওপর দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের একটি সঞ্চালন লাইন গেছে। তিন শ্রমিক স্তম্ভের রড বসানোর কাজ শুরু করলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের তারের সঙ্গে রডের স্পর্শ হয়। এতে রড বিদ্যুতায়িত হলে তিন নির্মাণশ্রমিক একসঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাটিতে পড়ে যান।
স্থানীয় লোকজন ও অন্য শ্রমিকেরা উদ্ধার করে তাঁদের সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে জরুরি বিভাগে থাকা চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে খবর পেয়ে সরাইল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। কিন্তু ঘটনার পরপরই বাড়ির মালিক বরকত আলী গা ঢাকা দেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নোমান মিয়া বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই তিন নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়।
একাধিকবার চেষ্টা করেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বাড়ির মালিক বরকত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিন নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পরপর বাড়ির মালিক আত্মগোপন করেছেন। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।