সেতুর দুই পাশের রেলিং ভেঙে গেছে। এতে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গতকাল রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভক্তিপুর এলাকায়
সেতুর দুই পাশের রেলিং ভেঙে গেছে। এতে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গতকাল রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ভক্তিপুর এলাকায়

সেতুর দুই পাশের রেলিং ভাঙা, ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল

রংপুরের মিঠাপুকুরে একটি খালের ওপর নির্মিত সেতুর দুই পাশের রেলিং ভেঙে গেছে। জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় লোকজন দ্রুত সেতুটি সংস্কার বা নতুন করে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের ভক্তিপুর এলাকায় সেতুটির অবস্থান। ২০০৩ সালে একমুখী সেতুটি নির্মাণে ১৮ লাখ টাকা ব্যয় হয় বলে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়। সেতুটি নির্মাণের সময় সেতুর দুই পাশে রেলিং ছিল। কিন্তু সেতুটি নির্মাণের প্রায় ১০ বছরের মধ্যে দুই পাশের রেলিং ভেঙে যায়। সেই সঙ্গে সেতুটির জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৫০ ফুট ও প্রস্থ ৮ ফুট। পাশাপাশি দুটি অটোরিকশা চলাচল করাও ঝুঁকিপূর্ণ।

গতকাল মঙ্গলবার সেতুটির দুই পাশের রেলিং ভেঙে পড়ায় চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এই সেতুর ওপর দিয়ে দুই দিকের আট গ্রামের মানুষ চলাচল করেন। সেতুর ওপর দিয়ে অটোরিকশাসহ যেকোনো যানবাহন চলাচল কষ্টকর ব্যাপার হয়ে উঠেছে। বাঘমারা, বালাবাড়ি, ঝাঁড়বাড়ি, মধ্যপাড়া, চৌধুরীপাড়া, মণ্ডলপাড়া, পানবাড়ি, ভক্তিপুরসহ আট গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে অটোরিকশা, সাইকেল ও হেঁটে চলাচল করছেন।

এলাকাবাসী জানালেন, রেলিং ভেঙে পড়ায় এই সেতুর ওপর দিয়ে দিনের বেলা কোনো রকমে চলাচল করা গেলেও রাতের বেলা অন্ধকারে চলাচল খুব কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণে ওই সেতুর ওপর দিয়ে আট গ্রামের মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

বালাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী ফুল বাবু বলেন, রেলিং ভাঙা এই সেতুর ওপর দিয়ে দিনের বেলা কোনো রকমে চলাচল করলেও রাতে চলাচল করা কষ্টকর। আগের এমপির কাছে বহুবার দেনদরবার করা হলেও সেতুটি নতুন করে নির্মাণ কিংবা সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

চৌধুরীপাড়া এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘সেতুটির রেলিং ভেঙে যাওয়ার কারণে চূহড় বাজারে ব্যবসার মালামাল নিয়ে যাওয়া কষ্টকর হয়। জাহাঙ্গীর আলম নামের এক কৃষক বলেন, ‘এবার হামরা নতুন এমপির কাছে দাবি জানাই সেতুটি নতুন করে নির্মাণ করা হোক।’

পানবাড়ি এলাকার ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যে রেলিং ভেঙে গেছে। এর ওপর সরু সেতু এবং একমুখী। ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে। এরপরও দাবি জানাই যত দ্রুত সম্ভব সেতুটি সংস্কার করা হোক।’

উপজেলা প্রকৌশলী আখতারুজ্জামান বলেন, সেতুটি মেরামত করার জন্য ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এখন উপজেলা পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটির রেলিং ভাঙা অংশের সংস্কার করা হবে। তবে কবে নাগাদ সংস্কার করা হবে তা জানা যায়নি।

রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য জাকির হোসেন সরকার বলেন, উপজেলার যেসব স্থানে কালভার্ট, সেতু ভাঙা আছে, এগুলো পর্যায়ক্রমে নতুন করে নির্মাণসহ সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এটা শুধু সময়ে ব্যাপার।