জামালপুরে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সরিষাবাড়ী উপজেলা শাখার সম্মেলনে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে এক সাংবাদিকসহ প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার পোগলদিঘা ডিগ্রি কলেজের মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলে পোগলদিঘা ডিগ্রি কলেজের মিলনায়তনে ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সেখানে সম্মেলন চলাকালে একদল দুর্বৃত্ত লাঠিসহ দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে অধিবেশনটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। এরপর হামলাকারীরা ছাত্র ইউনিয়নের যাকে যেখানে পায়, সেখানে মারধর করে। এতে সাংবাদিকসহ প্রায় ২০ জন আহত হন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন ডেইলি স্টারের জামালপুর প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের জামালপুর জেলার সভাপতি মাহবুব জামান ও সরিষাবাড়ী উপজেলা ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বায়ক শাহরিয়ার সৈকত। তাঁদের মধ্যে সাংবাদিক শহিদুল ইসলামকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ওই সম্মেলনের বিষয়টি আমাদের অবগত করা হয়নি। তারা সেখানে গোপনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল। হামলার বিষয়টি শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল।মো. চাঁন মিয়া, সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা
শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের অধিবেশনের সংবাদ সংগ্রহের জন্য তিনি কলেজের মিলনায়তনের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় রাস্তায় লোকজনকে ছোটাছুটি করতে দেখেন। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই হামলাকারীরা তাঁকেও মারধর শুরু করে। তিনি সংবাদকর্মী পরিচয় দেওয়ার পরও লাঠি দিয়ে মাথায় ও সারা শরীরে আঘাত করে। পরে তাঁর মোটরসাইকেলটিও হামলাকারীরা নিয়ে যায়।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি জামালপুর জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহম্মেদ খান প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলনটি খুব সুন্দরভাবে হচ্ছিল। হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত মিলনায়তনে ঢুকে হামলা চালায়। এ সময় তারা যাকে যেখানে পেয়েছে, এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এতে সাংবাদিকসহ ছাত্র ইউনিয়নের প্রায় ২০ জন নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলাটি কারা করেছে, কোন উদ্দেশে করেছে, এখনো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে তাঁরা আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জানতে চাইলে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. চাঁন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই সম্মেলনের বিষয়টি আমাদের অবগত করা হয়নি। তারা সেখানে গোপনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিল। হামলার বিষয়টি শুনে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সাংবাদিকসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমি হাসপাতালে ওই সাংবাদিককে দেখতে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’