কুমিল্লায় দুই কৃষককে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

আদালত
প্রতীকী ছবি

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ধনাইতরী জামতলা এলাকার কৃষক গিয়াস উদ্দিন ও জামাল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান বলেন, মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে তিনজন পলাতক রয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত বাকি আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর দুজনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ধনাইতরী এলাকার মো. তোফায়েল আহমেদ (তোঁতা), কামাল হেসেন, আলমগীর হোসেন, মো. মামুন, মোহাম্মদ বাবুল ও হারুনুর রশিদ। রায়ের সময় তোফায়েল আহমেদ, মো. মামুন ও হারুনুর রশিদ পলাতক ছিলেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সাত আসামি হলেন হায়দার আলী, আবুল মান্নান, জামাল হোসেন, আবুল বাশার, জাকির হোসেন, আবদুল কাদের ও আবদুল কুদ্দুস। তাঁরা সবাই রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মো. আমান ও মো. সেলিমকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১২ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশে বসে গল্প করছিলেন কৃষক গিয়াস উদ্দিন ও জামাল হোসেন। জমি ও মামলা–মোকদ্দমাসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ সময় আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই দুজনকে কুপিয়ে হত্যা করেন।

এ ঘটনার পরদিন নিহত গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৩ থেকে ৪ জনকে আসামি করে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট ১৫ জন আসামির নামে অভিযোগপত্র গঠন করা হয়। দীর্ঘ শুনানি ও ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।

রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জহিরুল হক ও রফিকুল ইসলাম জানান, তাঁরা আশা করছেন, শিগগির রায় কার্যকর হবে। তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী কাইমুল হক বলেন, আসামিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।