বিষের বোতল হাতে ভাইভা বোর্ডে চাকরিপ্রার্থী

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির মালি পদে নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ডে এক চাকরিপ্রার্থী বিষের বোতল হাতে নিয়ে সাক্ষাৎকার দিতে আসেন। চাকরি না দিলে বিষ খাবেন বলে বোর্ডের সদস্যদের হুমকি দেন তিনি। ওই চাকরিপ্রার্থীর নাম হাসমত আলী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা।

গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় ওই প্রার্থীর অঙ্গীকারনামা নিয়ে বিষের বোতল প্রক্টরের কার্যালয়ে রেখে দেওয়া হয়।

আবেদনকারী হাসমত আলী ১৮ থেকে ২০ বছর ধরে অলিখিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে কাজ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর উপাচার্যের বাসভবনে মালি পদে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল। হাসমত আলী নিয়োগ পেতে বিষের বোতল নিয়ে বোর্ডের সামনে যান এবং চাকরি না দিলে বিষ খাবেন বলে হুমকি দেন। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি প্রক্টর ও ওসিকে জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, দুপুরের দিকে উপাচার্যের একান্ত সচিব ফোন করে বিষয়টি জানান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, বোর্ডের টেবিলের ওপর একটি বিষের বোতল। বোর্ডের সদস্যদের মাধ্যমে জানতে পারেন, ওই ব্যক্তি নিয়োগ পাওয়ার জন্য বিষের বোতল নিয়ে আসেন। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি জানান, তিনি আবেগের বশে এ কাজ করেছেন। এ জন্য তিনি অনুতপ্ত। তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অনুরোধ করেন। এরপর বিষের বোতল উপাচার্যের নির্দেশে প্রক্টর কার্যালয়ে খামবন্দী করে রাখা হয়। পরে এমন কোনো কাজ তিনি করবেন না, পুলিশের উপস্থিতিতে সেই অঙ্গীকারনামা লিখে নেওয়া হয়।

ঘটনার ব্যাপারে জানতে মো. হাসমত আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ওসি আননূর যায়েদ প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি প্রক্টরের মাধ্যমে জানার পর থানায় অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছিলেন। পরে আর কেউ যোগাযোগ করেননি। তাই বেশি কিছু জানেন না।