বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মামুনুল হক বলেছেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে বর্তমান পর্যন্ত বাংলাদেশের কোথাও কোনো সংখ্যালঘু নির্যাতনের নাটক নাই। আসলে বাংলাদেশে কখনোই সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা হতো না। যেটা হতো, সেটার নাম হলো নাটক। এই নাটকের কলা-কুশীলব ছিল শেখ হাসিনা এবং তার দোসরেরা। এখন শেখ হাসিনাও নাই, নাটকও নাই।’
আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেডিয়ামে খেলাফত মজলিস পঞ্চগড় জেলা শাখার আয়োজনে এক গণসমাবেশে এসব কথা বলেন মামুনুল হক।
শেখ হাসিনা নেই, কিন্তু তাঁর অনেক দোসর এখনো বাংলাদেশের মাটিতে আছে মন্তব্য করে খেলাফত মজলিসের এই নেতা বলেন, ‘তারা চব্বিশের আগস্ট বিপ্লবকে ছিনতাই করতে চায়। সজাগ থাকতে হবে, পাহারাদারি করতে হবে। ছাত্র-জনতাকে বলব, তোমরা সজাগ থাকবে, রাজপথে থাকবে। আগস্ট বিপ্লবকে কেউ ছিনতাই করতে চাইলে, আমরা রুখে দাঁড়াব, ইনশা আল্লাহ।’
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব বলেন, ‘শেখ হাসিনা আপায় নাকি বাংলাদেশের সীমান্তের কাছাকাছি কোথাও আছেন। সুযোগ পেলেই চট করে দেশে ঢুকে পড়বেন। আসেন, এ দেশের মানুষ আপনাকে তালাশ করতেছে। খুঁজতেছে এ দেশের মানুষ। ১৫টা বছর এ দেশের মানুষকে কম জ্বালাননি আপনি। এ দেশের হাজার হাজার মায়ের বুক খালি করেছেন। এ দেশের হাজারো মা এখনো প্রতি রাতে নির্ঘুম রাত কাটান, দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন, এই বুঝি তাঁর গুমের শিকার কলিজার টুকরা সন্তান ফিরে আসবে। কিন্তু ফিরে আসে না, মায়ের অপেক্ষার প্রহরও শেষ হয় না। এই মা যত দিন বেঁচে থাকবেন, তাঁর বুক থেকে নির্গত দীর্ঘশ্বাস ও অভিশাপ শেখ হাসিনা তোমাকে তাড়া করে ফিরবে।’
গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি মীর মোর্শেদ তুহিন। এ সময় অন্যদের মধ্যে খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব জালালুদ্দীন আহমদ ও মাহবুবুল হক, সদস্যসচিব আবু সাইদ নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক, বায়তুল মাল সম্পাদক ফজলুর রহমান, জামায়াতে ইসলামীর পঞ্চগড় জেলা শাখার আমির ইকবাল হোসাইন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পঞ্চগড় জেলা শাখার সভাপতি আবদুল হাই, সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।