জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জি ইউনিয়নের উচনা সোনাতলা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
আজ রোববার সকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বাধায় কাজ বন্ধ করে বিএসএফ। আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অনুযায়ী শূন্যরেখা থেকে দেড় শ গজের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যায় না।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারত সীমান্তের গয়েশপুর ও বাংলাদেশ সীমান্তের সোনাতলা অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই। বিএসএফ পাঁচ দিন ধরে রাতের বেলা ওই অংশের ২৮০ নম্বর মেইন পিলারের সাব পিলার ১২ ও ১৩ নম্বরে শূন্যরেখার ১০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু করে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখে বিজিবিকে জানান। এরপর গতকাল শনিবার কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ বন্ধ রাখে বিএসএফ।
আজ সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, আজ সকালে আবার কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের কাজ শুরু করে বিএসএফ। বিজিবি বাধা দিলে দুপুরে ২৮০ নম্বর মেইন পিলারের ১৫ নম্বর সাব পিলারে বিএসএফ-বিজিবি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠান। এরপর থেকে বেড়া নির্মাণের কাজ বন্ধ রেখেছে বিএসএফ।
সোনাতলা গ্রামের মো. শাহজাহান বলেন, পাঁচ দিন ধরে কাঁটাতারের বেড়া দিতে শুরু করে বিএসএফ। তারা দিনের বেলা জঙ্গল পরিষ্কার করে আর রাতের বেলায় কাঁটাতারের বেড়া দেয়। কামরুজ্জামান বলেন, বিএসএফ সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে শূন্যরেখার ১০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে।
ধরঞ্জি ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য লাইজুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি বিজিবিকে জানিয়েছি। বিজিবি গতকাল বাধা দিয়েছিল। হঠাৎ আজ সকালে আবার কাজ করে বিএসএফ। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি।’
এ বিষয়ে বিজিবির হাটখোলা বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার সাইদুল বারী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২০ বিজিবি জয়পুরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাহিদ নেওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি জানতে পেরে বাধা দিয়েছি। বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকাজ স্থগিত রেখেছে। কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বিএসএফ আর কাজ করবে না বলে জানিয়েছে। যেটুকু করেছে, সেটি তুলে নিয়ে যাবে।’
এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় বিজিবির হাটখোলা বিওপির অধীন ঘোনাপাড়া সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করেছিল বিএসএফ। কিন্তু বিজিবির বাধায় বিএসএফ সেটা করতে পারেনি।