চট্টগ্রাম-৬ রাউজান আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনার আরেকটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় নগরের চান্দগাঁও থানার একটি হত্যা মামলায় ফজলে করিম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
মফিজুর রহমান আরও বলেন, কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ফজলে করিমকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে এ বি এম ফজলে করিমসহ তিনজনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ফজলে করিম আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে বিজিবি জানিয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে মামলা হয়েছে ১৪টি। এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য নিরাপত্তার কারণে ১৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রামে আনা হয়।
পরে ২৪ সেপ্টেম্বর ফজলে করিমকে সকাল সাড়ে সাতটায় আদালতে হাজির করা হয়। গ্রেপ্তার দেখানো হয় পাঁচ মামলায়। একই সঙ্গে রাউজান থানার একটি মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আদালত প্রাঙ্গণে আগে থেকে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতা সাবেক সংসদ সদস্যের ফাঁসি দাবি করে স্লোগান দেন এবং প্রিজন ভ্যানে ডিম নিক্ষেপ করেন। এরপর ১৭ অক্টোবর ফজলে করিমের বিরুদ্ধে আটটি মামলায় ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে শুনানি হয়। এটির প্রতিবাদে ২৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন বিক্ষুব্ধ লোকজন। তাঁরা ভার্চ্যুয়াল শুনানি বাতিল করে সশরীর ফজলে করিমকে আদালত হাজির করার দাবি জানান এবং জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপিও দেন। এর পর থেকে তাঁকে আদালতে সশরীর হাজির করা হচ্ছে।