গাইবান্ধার জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদের পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার ঘটনায় ২২ জনকে পুলিশে দিয়েছেন ডিসি চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার ৫৫টি শূন্য পদের বিপরীতে ৭ হাজার ১৮৬ জন চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দেন। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় ২২৬ জন উত্তীর্ণ হন। পরের দিন গতকাল শনিবার বেলা দুইটা থেকে জেলা প্রশাসকের কক্ষে মৌখিক পরীক্ষা শুরু হয়। লিখিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের সঙ্গে অনেকের মৌখিক পরীক্ষার দক্ষতার মিল পাওয়া যাচ্ছিল না। লিখিত পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাওয়া প্রার্থীদের অনেকে মৌখিক পরীক্ষায় সাধারণ সব প্রশ্নের ভুলভাল উত্তর দিচ্ছিলেন। এতে ডিসির সন্দেহ হয়। তিনি গত শুক্রবারের প্রশ্নপত্রে আবার সামনাসামনি কয়েকজনের লিখিত পরীক্ষা নেন। এতে যাঁরা ভালো নম্বর পেয়েছিলেন, তাঁরা ৫–৬ নম্বর করে পান। পরে জিজ্ঞাসাবাদে মৌখিক পরীক্ষা কমিটির সামনে তাঁরা স্বীকার করেন, তাঁদের হয়ে লিখিত পরীক্ষায় অন্যরা প্রক্সি দিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বলেন, প্রাথমিকভাবে প্রক্সির বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় ২২ জনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির পেছনে হয়তো বড় সিন্ডিকেট যুক্ত আছে। তদন্ত করে ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে।
এই ২২ জনের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখার প্রধান অফিস সহকারী নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে নিয়মিত মামলা করেছেন। মামলায় ২৫ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়।
গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম বলেন, আসামি অনেক। তাঁদের নাম–ঠিকানা যাচাই–বাছাই করে দেখা হচ্ছে। কোন ধারায় মামলা হবে, সেটি এখনো ঠিক হয়নি। আজ আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হবে।