নওগাঁর রানীনগরে মিম আক্তার (১৬) নামের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিজেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) ফোন করে নিজের বিয়ে বন্ধ করেছে। আজ বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। মেয়েটি রানীনগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী। সে উপজেলার পূর্ব বালুভরা গ্রামের বাবু মণ্ডলের মেয়ে।
প্রশাসন সূত্র জানায়, মিম আক্তারের বিয়ের বয়স হয়নি। তবু তাকে জোর করে বিয়ে দিচ্ছিল তার পরিবার। মিম বিয়ে করবে না, সে পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। ফলে বিয়ে আটকাতে সে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা চায়। পরে ইউএনও নিজেই মিমের বাড়িতে যান।
ইউএনও শাহাদাত হুসেইন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই ছাত্রী নিজেই আমাকে ফোন করে জানায়, তাকে জোর করে মা-বাবা বিয়ে দিচ্ছেন। এরপর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীর অভিযোগের সত্যতা পাই এবং সঙ্গে সঙ্গে বিয়ের সব আয়োজন বন্ধ করে দিই।’
ইউএনও জানান, তিনি মেয়েটির পরিবার ও স্থানীয় ব্যক্তিদের বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বুঝিয়েছেন। মেয়েটিকে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকাও আদায় করেছেন তিনি। পরবর্তী সময়ে যদি কেউ এমন বাল্যবিবাহের আয়োজন করেন, তাহলে তাঁদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে সবাইকে সতর্ক করেন তিনি।