টিপটিপ বৃষ্টি উপেক্ষা করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রাম পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত হয়। সেখানে চলছে জেলা স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াড। যক্ষ্মার বিস্তার রোধ ও স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াড।
যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সাহায্য প্রদানকারী সংস্থা ইউএসএআইডির অর্থায়নে ও আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) পরিচালনায় প্রথম আলো এই স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াডের আয়োজন করেছে। এতে সহযোগিতা করছে প্রথম আলো বন্ধুসভা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টায় কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ লাইনস মাঠে বেলুন উড়িয়ে স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোর আয়োজনে জেলার প্রথম স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াডে তোমরা অংশ নিয়েছ। আজ যারা এখানে স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছ, এখান থেকেই আগামী দিনে তোমরা দেশের বড় বড় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হবে। বড় বড় স্বাস্থ্যদূত হয়ে বিভিন্ন রাষ্ট্রে যাবে। তোমরা হবে আগামীর বাংলাদেশ।’
উদ্বোধনী পর্বে আরও বক্তৃতা করেন পুলিশ লাইনস স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. শামসুল ইসলাম, আইসিডিডিআরবির প্রতিনিধি চিকিৎসক মো. সোহেব আক্তার, প্রথম আলোর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি সফি খান, প্রথম আলো চর আলোর পাঠশালার প্রধান শিক্ষক মো. আতাউর রহমান, স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াডের সমন্বয়ক নুরুজ্জামান নাদিম, বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক ভুবন কুমার শীল প্রমুখ।
উদ্বোধনের পর ৩০ মিনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষে চলে পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজ। পাশাপাশি চলে দেয়ালিকা প্রদর্শনী প্রতিযোগিতা। সেখানে বিচারকেরা শিক্ষার্থীদের তৈরি করা দেয়ালিকা দেখে বিচারকার্য পরিচালনা করেন। এরপর মিলনায়তনে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রশ্নোত্তর পর্ব। শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিতে মঞ্চে ছিলেন আইসিডিডিআরবির প্রতিনিধি চিকিৎসক মো. সোহেব আক্তার, প্রোগ্রাম কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান, মেডিকেয়ার নার্সিং কলেজের সহপ্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মুকুল হোসেন।
স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াড ও দেয়ালিকা প্রতিযোগিতায় কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন বন্ধুসভার উপদেষ্টা হাসান পলাশ। সবশেষে পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে প্রাইমারি, জুনিয়র, সেকেন্ডারি—এই তিনটি ক্যাটাগরিতে ৩০ জন বিজয়ী নির্বাচিত করা হবে। যাঁরা ঢাকায় জাতীয় স্বাস্থ্য অলিম্পিয়াডে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। বিজয়ীদের সনদ, মেডেল ও টি-শার্ট দেওয়া হবে।