রাজশাহী নগর

দুর্বৃত্তের ছুরিতে কাটা পড়ল পৌনে ২০০ করবী-রঙ্গন

রাজশাহী নগরের সড়ক বিভাজকের ফুলগাছগুলো এভাবেই কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য সড়ক বিভাজকে লাগানো হয়েছিল করবী, রঙ্গন, মুসান্ডাসহ নানা প্রজাতির ফুলের গাছ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যেত ফুলগাছের ভিডিও। নগরের প্রজাপতি সড়কের ওই গাছের সৌন্দর্য রাজশাহীসহ সারা দেশে আলোড়িত হয়েছে। সৌন্দর্যের কারণে অনেকেই রাজশাহীকে ‘ফুলের শহর’ হিসেবেও স্বীকৃতি দেন। ফুলগাছেরও শত্রু থাকতে পারে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। নজরকাড়া সেসব ফুলগাছে ছুরি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

নগরের বহরমপুর রেলক্রসিং থেকে কাশিয়াডাঙ্গা সড়কের সায়েরগাছা মোড় পর্যন্ত সড়ক বিভাজকে লাগানো ১২৫টি গাছ আজ বুধবার সকালের দিকে দুর্বৃত্তরা কেটে ফেলে। সঙ্গে আরও ৫০টি ফুলের গাছ তুলেও নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন। গাছ কাটার খবরে স্থানীয় লোকজন বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

সড়কের ফুলগাছের ছবি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করে রাজশাহীকে ‘ফুলের শহর’ বলেছিলেন আরাফাত রুবেল। গাছ কাটার খবর শুনে তিনি বলেন, তিন-চার বছরে গাছগুলো বেড়ে উঠেছে। গাছগুলো শহরের ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে। সারা দেশে এ সড়ক পরিচিত। গাছগুলোকে যারা কেটেছে, সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের অবশ্যই শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।

সড়ক বিভাজকে লাগানো ১২৫টি গাছ বুধবার সকালে দুর্বৃত্তরা কেটে ফেলে। সঙ্গে আরও ৫০টি গাছ তুলে নিয়ে যায়

খবর পেয়ে আজ বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। এ সময় তিনি কাশিয়াডাঙ্গা থানা-পুলিশকে দোষীদের খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেন এবং স্থায়ী বাসিন্দাদের সজাগ থাকার অনুরোধ জানান।

সিটি করপোরেশনের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ মাহমুদ উল ইসলাম বলেন, মেয়রের দিকনির্দেশনায় নগরের সড়ক বিভাজক বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছে সাজানো হয়। পরিবেশকর্মীদের নিবিড় পরিচর্যায় গাছগুলো বড় হয়ে উঠেছে। আজ সকাল ১০টার দিকে কে বা কারা বহরমপুর রেলক্রসিং থেকে কাশিয়াডাঙ্গা সড়কের সায়েরগাছা মোড় থেকে কাশিয়াডাঙ্গা পর্যন্ত সড়ক বিভাজকে ১২৫টি বিভিন্ন কেটে ফেলেছে। এর মধ্যে ৩৯টি করবী, ২৫টি মুসান্ডা, ৩৫টি বড় রঙ্গন, ২৬টি মিনি রঙ্গন ফুলের গাছ আছে। এ ছাড়া আরও ৫০টি গাছ তুলে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। যে এলাকায় গাছ কাটা হয়েছে, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। এরপরও পুলিশ সারা দিন তদন্ত করেছে। রাতের মধ্যে তাঁরা আসামি ধরে ফেলবেন আশা করছেন।