বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় আজ বুধবার থেকে আবারও অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি আজ বিকেল ৪টায় এ বিষয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দেন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে রুমা উপজেলা ছাড়া থানচি ও রোয়াংছড়ি থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩ অক্টোবর থেকে ওই তিন উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত জঙ্গিবিরোধী অভিযান শুরু হয়। এরপর ১৭ অক্টোবর থেকে পর্যটক ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। দফায় দফায় এই নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছিল। পাহাড়ে নতুন সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) গোপন আস্তানায় সমতলের নতুন জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া জঙ্গিরা প্রশিক্ষণ নেওয়ার তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান এখনো চলমান।
জেলা প্রশাসকের আজকের জারি করা গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১০ ফেব্রুয়ারি জারি করা গণবিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে স্থানীয় ও বিদেশি পর্যটকদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হলো। এ ছাড়া জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে ওই তিন উপজেলা ছাড়া অন্য উপজেলাগুলোতে পর্যটকেরা ভ্রমণ করতে পারবেন।
গত শনিবার থানচি-রেমাক্রি-লেইক্রি সড়কের পরিবহনশ্রমিকদের ওপর হামলা ও অপহরণ এবং গত রোববার রোয়াংছড়ির কাটাপাহাড় এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল দলের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। রোয়াংছড়ির কাটাপাহাড়ের গুলিবর্ষণে সেনাবাহিনীর একজন মাস্টার ওয়ারেন্ট কর্মকর্তা নিহত ও দুজন সৈনিক আহত হয়েছেন বলে সশস্ত্র বাহিনীর আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের(আইএসপিআর) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
থানচির ঘটনায় একজন ট্রাকচালক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এ ছাড়া পাঁচজন শ্রমিককে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে মঙ্গলবার রাতে কেএনএফ পাঁচ শ্রমিককে মুক্তি দিয়েছে বলে থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল হক জানিয়েছেন।