সন্দ্বীপে তাঁতী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের বিরুদ্ধে খাসজমি বিক্রির অভিযোগ

চট্টগ্রাম জেলার মানচিত্র
চট্টগ্রাম জেলার মানচিত্র

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নে উপজেলা তাঁতী লীগ ও ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে খাসজমি দখল করে অবৈধভাবে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত দুই নেতা হলেন উপজেলা তাঁতী লীগের আহ্বায়ক মো. কামাল উদ্দিন ওরফে কামাল মেম্বার ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক নজরুল ইসলাম ওরফে জাবেদ।

মো. হাসেম, মো. পারভেজ ও মো. আজাদ নামের তিন স্থানীয় বাসিন্দা গত রোববার ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগকারী তিনজন গাছুয়া ইউনিয়নের গাছুয়া গ্রামের বাসিন্দা।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, উপজেলার গাছুয়া ইউনিয়নের গাছুয়া মৌজার বিএস ২৬০১ দাগের ৫৪ ও ৫৫ নম্বর প্লট হাসেম, পারভেজ ও আজাদের পূর্বপুরুষের ছিলেন। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৭ সালে হওয়া বিএস জরিপের সময় ওই জমি খাস খতিয়ানে চলে যায়। তবে প্লট দুটি এত দিন তাঁদের দখলেই ছিল। সম্প্রতি কামাল উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম একটি সিন্ডিকেট তৈরি করে জমিগুলো বিক্রি করার চেষ্টা করেন। ওই সিন্ডিকেটের সদস্যরা জমিতে খুঁটি লাগাতে গেলে হাসেম, পারভেজ ও আজাদ বাধা দেন। একপর্যায়ে কামাল উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম জমিগুলো বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। পরে তাঁরা জমিগুলো বন্দোবস্ত নিয়েছেন দাবি করে স্থানীয় এক ব্যক্তির বিক্রি করে দেন।

অভিযোগের বিষয়ে কামাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, তিনি কোনো ধরনের জমির বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করেননি। বন্দোবস্ত করা কোনো জমিও তিনি বিক্রি করেননি। তাঁর সঙ্গে শত্রুতা করে কেউ ওই অভিযোগ দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

ছাত্রলীগ নেতা নজরুল ইসলামও এই অভিযোগ অস্বীকার করেন। নজরুল বলেন, তিনি যেহেতু রাজনীতি করেন, তাই কেউ প্রতিহিংসার বশে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। তিনি অতীতেও জায়গা–জমি দখল কিংবা কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না, বর্তমানেও নেই।

জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাঈন উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কামাল উদ্দিন কয়েকজন লোককে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে জমি বন্দোবস্তের জন্য একাধিক আবেদন করেছেন। তাঁর আবেদন গ্রহণ করা হলেও বন্দোবস্ত দেওয়া হয়নি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ গুরুতর। তাই এ বিষয়ে শুনানির জন্য বাদীপক্ষ ও অভিযুক্ত—দুই পক্ষকে আজ মঙ্গলবার নোটিশ পাঠানো হবে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সম্রাট খীসা প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।