নেত্রকোনায় বিভিন্ন হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি মদন উপজেলার নায়েকপুর হাওরে
নেত্রকোনায় বিভিন্ন হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। সম্প্রতি মদন উপজেলার নায়েকপুর হাওরে

১ মাস পরও শুরু হয়নি ২৬ প্রকল্পের কাজ

নেত্রকোনায় হাওরের ১৫২টি ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার প্রকল্পের কাজ চলছে। চলমান কাজের গড় অগ্রগতি ২০ শতাংশ। তবে কাজ শুরুর নির্ধারিত সময়ের এক মাস পরও ২৬টি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। কৃষকেরা বলছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাঁধের কাজ শেষ করতে না পারলে আগাম বন্যার ঝুঁকিতে পড়বে হাওরাঞ্চলের ফসল।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দাবি, হাওরে এবার পানি দেরিতে নেমেছে। তাই জরিপকাজ শেষ করতে কিছুটা সময় লেগেছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ে সব প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে আশা তাঁদের।

পাউবো সূত্র জানায়, হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের নির্মাণকাজ ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে শুরু এবং ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তা শেষ করার কথা। এর আগে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন এবং ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রকল্প নির্ধারণের কাজ চূড়ান্ত হওয়ার কথা। কিন্তু পানি ধীরগতিতে নামায় প্রকল্প নির্ধারণের কাজ চূড়ান্ত করতে দেরি হয়। পিআইসি গঠিত হলেও পানির কারণে সব কটির কাজ এখনো শুরু করা সম্ভব হয়নি।

জেলা পাউবো সূত্র আরও জানায়, জেলায় পাউবোর অধীন প্রায় ৩৬৫ কিলোমিটার ডুবন্ত (অস্থায়ী) বাঁধ আছে। এসব বাঁধের ওপর স্থানীয় কৃষকদের প্রায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমির রোরো ফসল নির্ভর করে। এ ফসলের ওপর ভিত্তি করে কৃষকদের সারা বছরের সংসার খরচ, চিকিৎসা, সন্তানদের লেখাপড়া, আচার-অনুষ্ঠানসহ সব কিছু। বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে জেলায় ১৭৮টি পিআইসি গঠিত হয়েছে।

খালিয়াজুরি উপজেলায় ১৩টি প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু হয়নি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম রকিবুল হাসান বলেন, বুধবার (আজ) উপজেলায় নতুন আটটি ও আগামী শনিবার বাকি পাঁচটি প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করা হবে।

জেলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, সব প্রস্তুতি রয়েছে। পানি শুকানোর সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত কাজ শুরু করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংস্কারকাজ শেষ করা সম্ভব হবে। গত বছর জেলায় ৩৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০৬টি পিআইসি গঠন করা হয়েছিল। এ বছর বাঁধের ক্ষতি কম হওয়ায় ২৮টি পিআইসি কম করা হয়। ১৫৬ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণে গঠিত ১৭৮টি পিআইসির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।