গজারিয়ায় দুই পক্ষের গোলাগুলি, ডাকাত বাহিনীর প্রধান নিহত

নৌডাকাত বাহিনীর প্রধান বাবলা খা
ছবি: সংগৃহীত

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনায় দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে  নৌডাকাত বাবলা বাহিনীর প্রধান বাবলা খাঁ নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের মল্লিকের চরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত বাবলা খাঁ (৪০) চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার মোহনপুর গ্রামের বাচ্চু খাঁর ছেলে। তিনি মল্লিকের চরের রহিম বাদশা নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে থেকে নৌডাকাতি, অবৈধভাবে বালু তোলাসহ নৌপথের নানা ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতেন।

পুলিশ বলছে, বালু তোলার টাকার ভাগ–বাঁটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে বাবলা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। বাবলার বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে ২৪টির বেশি মামলা রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার রাতে মল্লিকের চরের রহিম বাদশার বাড়িতে ছিলেন বাবলা। এক মাস ধরে গজারিয়া উপজেলার গুয়াগাছিয়া এলাকায় অবৈধভাবে বালু তোলা নিয়ে নৌডাকাত নয়ন, পিয়াস, রিপন পক্ষের সঙ্গে বাবলার দ্বন্দ্ব চলছিল। এ ছাড়া মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে তোলা বালু বিক্রির টাকার ভাগ–বাঁটোয়ারা নিয়ে বাবলার সঙ্গে তাঁর পক্ষের রহিম বাদশা ও ইমামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো.জসিম উদ্দিনের সঙ্গেও বিরোধ চলছিল।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রাতে মল্লিকের চরের রহিম বাদশার বাড়িতে ছিলেন বাবলা। আজ সকাল পৌনে আটটার দিকে ট্রলারে ১০-১২ জনের একটি দল হেলমেট পরা অবস্থায় এলোপাতাড়ি গুলি করতে করতে রহিম বাদশার বাড়ির দিকে আসেন। বাবালাও তাঁদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছোড়েন। সে সময় স্থানীয় লোকজন ভয়ে যাঁর যাঁর ঘরে চলে যান। সকাল আটটার দিকে এলাকার লোকজন মসজিদে মাইকিং করে হেলমেটধারী ব্যক্তিদের ধাওয়া দেন।

একপর্যায়ে রহিম বাদশার বাড়ির দোতলার একটি কক্ষে বাবলার গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখেন এলাকাবাসী। এ সময় হামলায় জড়িত পাঁচজনকে ওই বাড়ির একটি কক্ষে আটকে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুলিশে খবর দেন তাঁরা।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের সদস্যরা মল্লিকের চরে যান। সেখান থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। বাবলার শরীর ও মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। কী কারণে হত্যার ঘটনাটি ঘটেছে, এটি তাঁরা খতিয়ে দেখছেন।