সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এক সাংবাদিককে মারধর করা হয়েছে। আহত ওই সাংবাদিক স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁর বাড়ি উপজেলার বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের গড়াকাটা গ্রামে।
ওই সাংবাদিকের নাম এম স্বপন জাহান (৩০)। তিনি দৈনিক আলোকিত প্রতিদিন পত্রিকার মধ্যনগর উপজেলা প্রতিনিধি। গতকাল শনিবার রাতে মধ্যনগরে বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের গড়াকাটা বাজারে তাঁর ওপর হামলা হয়। রাতেই একই গ্রামের পাঁচজনকে আসামি করে মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। আসামিরা হলেন জয়নাল মিয়া (৫৫), তাজু মিয়া (৪৫), মন্নাফ মিয়া (৪০), লালন মিয়া (২৫) ও কালন (২৯)।
অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা সবাই ইউনিয়নের গড়াকাটা গ্রামের বাসিন্দা। এলাকায় মাদক সেবন, ব্যবসা ও নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তাঁরা মদ পান করে প্রায় প্রতিদিনই গড়াকাটা বাজারে মাতলামি করে মানুষজনকে বিরক্ত আসছিলেন। মাদক ব্যবসার জন্য জয়নাল মিয়াকে পুলিশ দু–তিন বছর আগে মদসহ গ্রেপ্তারও করেছিল। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন করেছিলেন স্বপন জাহান। তা নিয়ে জয়নাল ও তাঁর লোকজন ওই সাংবাদিকের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। তাঁরা স্বপন জাহানকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
স্বপন জাহান জানান, গতকাল শনিবার রাত আটটার দিকে তিনি গড়াকাটা বাজারে একটি চায়ের স্টলে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। দোকান থেকে বের হয়ে সামনের সড়কে যাওয়া মাত্রই তাঁকে মাদকব্যবসায়ী জয়নাল মিয়া ও তাঁর লোকজন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে।
এই সাংবাদিক বলেন, ‘আমি প্রতিবাদ করা মাত্রই মাদকব্যবসায়ী ও মাদকসেবী জয়নাল মিয়ার নেতৃত্বে তাঁর লোকজন আমার ওপর হামলা চালিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল–ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করেছে। পরে লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। আমি স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছি। ঘটনার পর থেকে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
তবে এ অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে জয়নাল মিয়া বলেন, ‘আমি ও আমার লোকজন কোনো সাংবাদিককে মারধর করিনি। অভিযোগগুলো মিথ্যা।’
এ বিষয়ে মারধরের শিকার সাংবাদিকের অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।