বরুড়ায় নকলে বাধা দেওয়ায় কক্ষ ভাঙচুর, এসএসসির কেন্দ্র স্থানান্তর

কুমিল্লা জেলার মানচিত্র
কুমিল্লা জেলার মানচিত্র

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীন এসএসসির গণিত পরীক্ষায় নকল করতে বাধা দেওয়ায় কক্ষ ভাঙচুর করেছে পরীক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার বরুড়া উপজেলার বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এরপর ওই বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্র ফলকামুড়ি শাহেরবানু আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে।

কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বরুড়া হাজী নোয়াব আলী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল করতে বাধা দেওয়ায় ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের দরজা-জানালা ভাঙচুর, পরীক্ষাকক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষকদের হেনস্তা ও বিক্ষোভ করে। এ ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের পরীক্ষাকেন্দ্র স্থানান্তর করা হয়েছে। ওই কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা আগামীকাল বুধবার থেকে ফলকামুড়ি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এসএসসি পরীক্ষা দেবে।

এ ছাড়া ঝলম, পয়ালগাছা, বাতাইছড়ি পরীক্ষাকেন্দ্রে অব্যবস্থাপনার চিত্র দেখতে পায় বোর্ডের পরিদর্শক দল। বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বরুড়া উপজেলার পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে নানা অনিয়ম পেয়েছে বোর্ডের পরিদর্শক দল। তাঁদের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বোর্ড ব্যবস্থা নিচ্ছে। নকল প্রতিরোধে বোর্ডের তত্পরতা অব্যাহত থাকবে।

১০ শিক্ষককে অব্যাহতি

মঙ্গলবার এসএসসি পরীক্ষার গণিত বিষয়ের পরীক্ষা চলার সময় বোর্ডের পরিদর্শক দল বিভিন্ন কেন্দ্রে গিয়ে দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ পাওয়ায় ১০ শিক্ষককে পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। বরুড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বরুড়া উপজেলার আড্ডা উমেদিয়া উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করে বহিরাগতদের নকল সরবরাহ করতে ও কেন্দ্রে বিপুল পরিমাণ গাইড বইয়ের ছেঁড়া পাতা দেখতে পান দলের সদস্যরা। এ কারণে কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঝলম স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মো. জহিরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান ও রণজিৎ সরকারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এ ছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলার ঘটনায় বাতাইছড়ি উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে কেমতলি টেকনিক্যাল উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সারোয়ার হোসেন ও শিমুল চন্দ্র ভৌমিককে, ঝলম স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ছোটতুলাগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খোকন চন্দ্র শর্মা ও কৃষ্ণপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সেলিনা ইয়াছমিনকে, পয়ালগাছা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে কাজকামতা আশ্রাফিয়া আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক শাহিদা আক্তারকে, বরুড়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে বাতাইছড়ি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক রাবেয়া বেগম ও চালিতাতলি দারুসসুন্নাহ আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ইলিয়াছ মিয়াকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।