সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার কাইলানী হাওরে স্থানীয় লোকজনের বাধায় বন্ধ হওয়া গুবরিয়া খাল ফসল রক্ষা বাঁধের ১৬ নম্বর প্রকল্পের কাজ আবার শুরু হয়েছে। পুলিশের পাহারায় আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। স্থানীয় লোকজনের বাধায় গত বৃহস্পতিবার থেকে ওই প্রকল্পের কাজ বন্ধ ছিল।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অতীশ দর্শী চাকমা বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, স্থানীয় কয়েকজন বাধা দেওয়ায় কাইলানী হাওরের ১৬ নম্বর প্রকল্পের কাজ দুই দিন বন্ধ ছিল। বিষয়টি সমাধান করে আজ সকাল থেকে বাঁধের কাজ শুরু হয়েছে।
প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মধ্যনগর উপজেলার ঘোড়াডোবা, গুরমা, কাইলানী ও রুই বিল হাওরে ৩২টি প্রকল্প নেওয়া হয়। কাইলানী হাওরে ৯টি পিআইসি কাজ করছে। এর মধ্যে গুবরিয়া খাল ফসল রক্ষা বাঁধের ১৬ নম্বর পিআইসির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সরকার ও সদস্যসচিব আবদুল হক। বাঁধটির দৈর্ঘ্য ৪৬৫ মিটার। ১০ জানুয়ারি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে মধ্যনগর সদর ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের কৃষক গোলাম ফারুক ও তাঁর লোকজন প্রকল্পের কাজে বাধা দেন। এতে কাজটি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সহায়তায় পিআইসির সভাপতি ও সদস্যসচিব বিষয়টি ইউওনও অতীশ দর্শী চাকমা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী নুর আলমকে জানান। আজ সকাল ১০টার দিকে পুলিশ নিয়ে গুবরিয়া খাল ফসল রক্ষা বাঁধে যান ইউএনও। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে বাঁধের কাজ শুরু হয়।
পিআইসির সভাপতি সুভাষ চন্দ্র সরকার প্রথম আলোকে বলেন, বর্ষায় বাঁধ ভেঙে মাটি বাঁধসংলগ্ন বোরো জমিতে পড়ে জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে—এ দাবি করে তেলিপাড়া গ্রামের গোলাম ফারুক গত বৃহস্পতিবার প্রকল্পের কাজে বাধা দেন। এতে কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাটি ইউএনওকে জানানোর পর আজ সকাল থেকে বাঁধের কাজ আবার শুরু হয়েছে।
কৃষক গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমাদের জমির তীরবর্তী স্থান দিয়ে বাঁধটি গেছে। বাঁধের মাটি পড়ে আমাদের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ জন্য বাঁধের কাজে বাধা দিয়েছিলাম। ইউএনও বুঝিয়ে বলায় ও এলাকার কৃষকদের ফসল রক্ষার কথা ভেবে কাজ করায় এখন বাধা দেওয়া হচ্ছে না।’ পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী নুর আলম বলেন, কাজে বাধা দেওয়ায় কাজটি বন্ধ ছিল। ইউএনওর প্রচেষ্টায় কাজটি আবার শুরু হয়েছে।