কক্সবাজারের উখিয়ার মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) গুলিতে এপিবিএনের একজন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ রোববার ভোর সাড়ে চারটার দিকে আশ্রয়শিবিরের এফ ব্লকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সঙ্গে আরসা সন্ত্রাসীদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ পুলিশ সদস্যের নাম মো. শাহরাজ (২৬)। তিনি মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের ইরানী পাহাড় ফাঁড়ির কনস্টেবল। গুলিতে ঊরু ও ডান হাতের আঙুলে আঘাতপ্রাপ্ত হন শাহরাজ।
সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালানো হচ্ছে জানিয়ে ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) মো. ইকবাল বলেন, আজ ভোরে মধুরছড়া আশ্রয়শিবিরের এফ ব্লকে এপিবিএনের একটি দল নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিল। এ সময় আশ্রয়শিবিরের কাঁটাতারের বাইরে থাকা ৩০-৩৫ জন আরসা সন্ত্রাসী ভেতরে ঢুকে এপিবিএন সদস্যদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। আত্মরক্ষার্থে এপিবিএন সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়েন। গোলাগুলিতে এপিবিএন সদস্য (পুলিশ কনস্টেবল) গুলিবিদ্ধ হন। তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এপিবিএন অধিনায়ক বলেন, আশ্রয়শিবিরের পশ্চিমে গহিন পাহাড়ে আরসা সন্ত্রাসীদের একাধিক আস্তানা রয়েছে। দিনের বেলায় সন্ত্রাসীরা সেখানে অবস্থান করে। রাতে কাঁটাতারের বেড়া কেটে আশ্রয়শিবিরে ঢুকে হত্যা, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম ঘটিয়ে চলেছে। এপিবিএনের ওপর অতর্কিত হামলার পর আরসা সন্ত্রাসীরা পাহাড়ে আত্মগোপন করে।
আশ্রয়শিবিরের একজন রোহিঙ্গা নেতা বলেন, শনিবার দিবাগত রাতে এপিবিএন সদস্যরা উখিয়ার হাকিমপাড়া আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-২০) অভিযান চালিয়ে দুটি বন্দুকসহ এক রোহিঙ্গা তরুণ মোহাম্মদ ইলিয়াছকে (২৬) গ্রেপ্তার করে। তিনি উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-১১) এ-১৫ ব্লকের রোহিঙ্গা হাসান আহমদের ছেলে। এ ঘটনার রেশ ধরে আরসা সন্ত্রাসীরা এপিবিএনের ওপর হামলা চালাতে পারে।