টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বাহারি রঙের ফুলকপি চাষ করে সফল হয়েছেন এক কৃষক। এই কপি তিন গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বাগান থেকে। আশপাশের অঞ্চলের মানুষ প্রতিদিন দেখতে আসছেন তাঁর রঙিন ফুলকপির বাগান।
রঙিন ফুলকপি চাষে সফল ওই কৃষকের নাম আরশেদ আলী। তাঁর বাড়ি ভূঞাপুর পৌরসভার ছাব্বিশা এলাকায়। তিনি বলেন, তিনি তাঁর নিজের ১৫ শতাংশ জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদ করতেন। এবার কৃষি বিভাগ তাঁকে রঙিন ফুলকপি চাষের কথা বলে। তাদের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি প্রায় আট শ রঙিন জাতের কপি চারা বাগানে লাগান।
ভূঞাপুর উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, ‘বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের’ আওতায় ভূঞাপুরে এ বছর শীত মৌসুমে রঙিন কপি চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কৃষক আরশেদ আলী সফল হয়েছেন। তাঁর বাগানে এখন শোভা পাচ্ছে হলুদ ও বেগুনি রঙের ফুলকপি।
রোববার বিকেলে ওই বাগানে সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষক আরশেদ আলী বাগান পরিচর্যা করছেন। তিনি বলেন, এলাকার মানুষ এর আগে কখনো রঙিন ফুলকপি দেখেননি। তাই প্রতিদিন মানুষ আসে এই কপি দেখার জন্য। সাধারণত সাদা একটি ফুলকপি মাঠ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হয়। কিন্তু রঙিন ফুলকপি ৫০ টাকা করে বিক্রি করতে পারছেন। এতে তিনি খুব খুশি।
পৌর এলাকার কুতুবপুর থেকে আসা কৃষক মাহমুদুল হাসান বলেন, নতুন জাতের ফুলকপি চাষের খবর পেয়ে তিনি দেখতে এসেছেন। এই কপি দেখতে খুব আকর্ষণীয়। তাই আগামী দিনে তিনিও এই কপি চাষ করবেন।
রঙিন ফুলকপি কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, একজনের ফেসবুকে এই ফুলকপির ছবি দেখে তিনি আগ্রহী হয়েছেন। তাই নতুন জাতের এই ফুলকপি কিনতে এসেছেন।
ভূঞাপুরের অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা আরিফুর রহমান বলেন, রঙিন এই ফুলকপিতে আছে বিটা ক্যারোটিন, যা শরীরে ভিটামিন এ-তে পরিণত হয়। এ ছাড়া এই কপিতে যথেষ্ট পরিমাণ অ্যান্থোসায়ানিন আছে, যা শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।