পীরগাছা উপজেলা পরিষদ

আওয়ামী লীগে বিভক্তি, স্বস্তিতে জাতীয় পার্টি 

পীরগাছায় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই এবং যুবলীগের এক নেতা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে দলটির নেতা–কর্মীরা দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে আছেন। তাঁদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিভক্তি।

উপরের বাঁ দিক থেকে মাহবুবার রহমান,তছলিম উদ্দিন,আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ,মনোয়ারুল ইসলাম
উপরের বাঁ দিক থেকে মাহবুবার রহমান,তছলিম উদ্দিন,আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ,মনোয়ারুল ইসলাম

রংপুরের পীরগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের তিন নেতা অংশ নিয়েছেন। আর জাতীয় পার্টি থেকে অংশ নিয়েছেন একজন। নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে।

এতে সুবিধাজনক অবস্থায় আছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী। সাধারণ ভোটার, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের এই চিত্র পাওয়া গেছে। 

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৮ মে অনুষ্ঠেয় পীরগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন পীরগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহসম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম এবং বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আবু নাসের মো. মাহবুবার রহমান। 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করায় দলের নেতা–কর্মীরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। তবে এই তিন প্রার্থী নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের তাঁদের নিজেদের পক্ষে কাজ করানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। এতে করে দলের নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময় একসঙ্গে দলীয় কার্যক্রম করলেও এখন আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে এসে দলের মধ্যে নেতা-কর্মীদের বিভক্তি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ফলে দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে রূপ নিতে পারে বলে নেতা-কর্মীরা আশঙ্কা করছেন।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তছলিম উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এর আগে দলের হয়ে বিভিন্ন নির্বাচনে কাজ করেছি। মাঠপর্যায়ে আমার অভিজ্ঞতা আছে।’ অধিকাংশ নেতা-কর্মী তাঁর পক্ষে কাজ করছেন বলে দাবি করেন তিনি। নির্বাচনে দলের একাধিক প্রার্থী হওয়ায় নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়ায় নির্বাচন কোনো প্রভা পড়বে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দলের সমর্থক ও নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হলেও এটি আমার জন্য কোনো বিষয় নয়।’

অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এই ভোট হবে ভালোবাসার ভোট। যেহেতু কোনো দলীয় প্রতীক নেই। জনগণ যাকে বেশি ভালোবাসে, তিনিই নির্বাচিত হবেন।’ 

এই উপজেলায় এবারও জাতীয় পার্টির প্রার্থী আবু নাসের মো. মাহবুবার রহমান। তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চলে এখনো জাতীয় পার্টির প্রতি মানুষের ভালোবাসা রয়েছে। আমি আশা করছি, এবারও জনগণ জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন।’

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা দলের পক্ষ থেকে সেখানে সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, এবারও আমাদের প্রার্থী জয়ী হবেন।’