ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে প্রথমে ৬০ কিলোমিটার গতিতে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় যায় পরীক্ষামূলক বিশেষ ট্রেন। পরে ৮০ কিলোমিটার গতিতে মাওয়া থেকে ভাঙ্গায় ফিরে আসে। এভাবে ১০০ কিলোমিটার গতিতে আবার ভাঙ্গা থেকে মাওয়ায় যাওয়ার পর ১২০ কিলোমিটার গতিতে আবার সেখান থেকে ভাঙ্গায় ফিরে আসে ট্রেনটি।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ১১টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত ৪ ঘণ্টা ২০ মিনিটে এভাবেই চারবার পদ্মা সেতু পাড়ি দেয় বিশেষ ট্রেন। রেলপথ ও পদ্মা সেতুর উপযুক্ততা পরীক্ষা করার জন্য ট্রেনটি চালানো হয়। গতি পরীক্ষার জন্য কাল শনিবারও একইভাবে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে।
ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ভাঙ্গা থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে মাওয়া রেলস্টেশনের উদ্দেশে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি রওনা হয়। সকাল ৮টা ১০ মিনিটের দিকে সেটি মাওয়ায় পৌঁছায়। এ সময় ট্রেনের গতি ছিল ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার। এরপর মাওয়া থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে সকাল ৮টা ২৫ মিনিটে রওনা হয়ে ৯টা ৪৫ মিনিটে ট্রেনটি ভাঙ্গায় ফিরে আসে। সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেনটি আবার রওনা দিয়ে ১০টা ৩৫ মিনিটে মাওয়ায় পৌঁছায়। পরে ১২০ কিলোমিটার গতিতে বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে ভাঙ্গা রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায় ট্রেনটি।
ভাঙ্গা রেলস্টেশনের মাস্টার মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষামূলক ট্রেনটি গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে পাকশী থেকে ভাঙ্গা রেলস্টেশনে এসে পৌঁছায়। আজ দুই দফায় চারবার পদ্মা সেতু পার হয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতি পরীক্ষা করা হয়। কাল শনিবারও গতি পরীক্ষার কার্যক্রম চালানো হবে।
গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেলস্টেশন পর্যন্ত পরীক্ষামূলক যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। ওই দিন দুপুরে ভাঙ্গা রেলস্টেশন পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে রেলমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, আগামী ১০ অক্টোবর ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর দ্রুততম সময়ের মধ্যে এ রেলপথ বাণিজ্যিকভাবে খুলে দেওয়া হবে।