রংপুরে আদালত চত্বরে নির্বাচনী গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। সোমবার দুপুরে
রংপুরে আদালত চত্বরে নির্বাচনী গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। সোমবার দুপুরে

শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকা নিয়ে এই মুহূর্তে বলতে পারছি না: জি এম কাদের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না, তা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন রংপুর-৩ (সদর) আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জি এম কাদের। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রংপুর নগরীর আদালত চত্বরে নির্বাচনী গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জি এম কাদের বলেন, ‘অনেক সময় অনেক প্রার্থী নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকেন না। এ ক্ষেত্রে কেউ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন, আবার কেউ এমনিতেই চলে যান। যাঁরা নির্বাচন করতে চান না, আমি তো তাঁদের জোর করে করাব না। এটা তাঁদের অধিকার।’

জাপার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে দলের চেয়ারম্যান বলেন, প্রার্থিতা প্রত্যাহার হুমকির কারণেও হতে পারে, অর্থের অভাবেও হতে পারে। অনেক প্রার্থী অর্থশালী নন। ফলে অর্থের কারণেও অনেকে নির্বাচন থেকে সরে যান।

জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে জি এম কাদের বলেন, ‘নির্বাচন না আসা পর্যন্ত আমরা এই মুহূর্তে এটা বলতে পারছি না। তা সময়ই বলে দেবে। সেই পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।’

গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন জাপার কো-চেয়ারম্যান, রংপুর জেলার আহ্বায়ক, রংপুর মহানগর সভাপতি ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান; কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও রংপুর মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির; কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা সদস্যসচিব আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।

রংপুর-৩ আসনে জি এম কাদের (লাঙ্গল প্রতীক) ছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আবদুর রহমান (একতারা প্রতীক), বাংলাদেশ কংগ্রেসের একরামুল হক (ডাব প্রতীক), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সহিদুল ইসলাম (মশাল প্রতীক), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শফিউল আলম (আম প্রতীক) এবং তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানী (ঈগল প্রতীক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রংপুর সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৮ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ২৯৪ জন, পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৭২ জন ও হিজড়া ভোটার রয়েছেন ২ জন।