চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলায় যাত্রীবাহী একটি বাসের চালক অসুস্থ হয়ে গাড়িতে ঢলে পড়লে নিয়ন্ত্রণ হারানো বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে মিরসরাই উপজেলা সদরের পদচারী–সেতুর উত্তর পাশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. নুরুল আলম (৭৫) সীতাকুণ্ড উপজেলার পন্থিছিলার উত্তর ঈদুলপুর এলাকার বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় আশীষ কুমার দে (৩৪), আবদুর রহিম (৩০) ও রসূল আহমেদ (৩২) নামের তিন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রসূল আহমেদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রী নুর আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলা সিডিএম পরিবহনের বাসটি ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে। আমি চালকের পেছনের আসনে বসেছিলাম। বাসটি মিরসরাই উপজেলা সদরে এলে হঠাৎ চালক চিৎকার দিয়ে তাঁর আসন থেকে ছিটকে পড়েন। এ সময় তাঁর শরীর অস্বাভাবিকভাবে কাঁপছিল। চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাসটি সড়ক ধরে চলা একটি মোটরসাইকেল, ডিজেল ইঞ্জিনচালিত একটি ভটভটি ও এক পথচারীকে চাপা দেয়।’
পথচারী নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরসরাই থানার উপপরিদর্শক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে মিরসরাই উপজেলা সদরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে রসূল আহমেদ নামের একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহত ব্যক্তির লাশ ও দুর্ঘটনাকবলিত গাড়িটি জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা-পুলিশের সদস্যরা নিয়ে গেছেন। এ বিষয়ে তাঁরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া মিরসরাই উপজেলা সদরের সেবা আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসক মো. দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মিরসরাই সদরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত তিনজনকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে আশীষ কুমার দে ও আবদুর রহিমকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রসূল আহমেদের বাঁ হাত ভেঙে গেছে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’