বকেয়া বেতন পরিশোধসহ চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ২৪ শিক্ষক
বকেয়া বেতন পরিশোধসহ চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ২৪ শিক্ষক

বকেয়া পরিশোধ ও চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে দিনাজপুর পলিটেকনিকে মানববন্ধন

দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ট্রেনিং এনহ্যান্সমেন্ট প্রজেক্ট (স্টেপ) থেকে যোগদানকারী শিক্ষকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ ও চাকরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন ভুক্তভোগী ২৪ জন শিক্ষক। এ সময় তাঁদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরাও।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন ইনস্ট্রাক্টর (নন–টেকনিক) আবু সাইদ, পাওয়ার বিভাগের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর সানিয়াত বোরহান, মেকানিক্যাল বিভাগের ইনস্ট্রাক্টর আব্দুল হাকিম, জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর জেসমিন আরা প্রমুখ।

মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে আবু সাইদ বলেন, দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও কারিগরি শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১০ সালে সরকার স্টেপ প্রকল্পটি চালু করে।প্রকল্পটিতে বিশ্বব্যাংকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অর্থায়ন করেছিল। সে সময় প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিধি অনুযায়ী উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ১ হাজার ১৫ জনকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমানে তাঁদের মধ্যে ৭৩৮ জন কর্মরত আছেন।

দুই ধাপে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করে ২০১৯ সালের জুনে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়। সে সময় কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকসংকট থাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের লিখিত আদেশে ওই শিক্ষকদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এমনকি ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১২ মাসের বেতন–ভাতাদি তিন ধাপে থোক বরাদ্দের মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। তারপর ২০২০ সাল থেকে অদ্যাবধি অনেকবার আবেদন করা হয়েছে কিন্তু বেতন–ভাতা প্রদান করা হয়নি। প্রায় ৫ বছর অতিবাহিত হলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চাকরি স্থানান্তরের বিষয়টি থমকে আছে।

জেসমিন আরা বলেন, ‘প্রায় ৫ বছর ধরে বিনা বেতনে চাকরি করে আসছি। মন্ত্রণালয় আমাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। বর্তমানে পরিবার–পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। সারা দেশে ৭৩৮ জন শিক্ষকের মধ্যে শুধু দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটেই আছি ২৪ জন। বর্তমানে অনেকের গড় বয়স ৩৪-৪০ বছর। সরকারি নতুন কোনো কর্মস্থলে যাওয়ার সুযোগও আমাদের নেই।’