তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন, প্রজ্ঞাপন জারি

তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়িতে চেয়ারম্যানসহ ১৫ সদস্যের পরিষদ পুনর্গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুনর্গঠিত পরিষদ সব দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব তাসলিমা বেগমের সই করা তিনটি আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটিতে চেয়ারম্যান করা হয়েছে কাজল তালুকদারকে। সদস্য করা হয়েছে পাঁচজন চাকমা, দুজন মারমা, চারজন বাঙালি এবং ত্রিপুরা, পাংখুয়া ও তঞ্চঙ্গ্যা একজন করে।

বান্দরবান পার্বত্য জেলায় থানজামা লুসাইকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। থানজামা লুসাই ২০০৭-০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়েও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একজন শিক্ষাবিদ। এ ছাড়া সদস্য করা হয়েছে চারজন মারমা, চারজন বাঙালি এবং ত্রিপুরা, ম্রো, খুমি, তঞ্চঙ্গ্যা, চাক ও বম থেকে একজন করে। তবে চাকমা ও খেয়াং থেকে কোনো সদস্য নেওয়া হয়নি।

খাগড়াছড়িতে জিরুনা ত্রিপুরাকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। চাকমা ও মারমা তিনজন করে, দুই নারীসহ ত্রিপুরা চারজন, এক নারীসহ চারজন বাঙালি সদস্য করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুনরায় আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পুনর্গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের দায়িত্ব পালন করবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হলে তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা সবাই আত্মগোপনে চলে যান। তখন থেকে তিন মাস ধরে পরিষদগুলোয় অচলাবস্থা বিরাজ করছে। পরে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রদান করা হলেও আর্থিক লেনদেনের ক্ষমতা চেয়ারম্যান ছাড়া কাউকে দেওয়ার বিধান না থাকায় কোনো কাজকর্ম করা যাচ্ছিল না বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পরিষদ পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে সেই অচলাবস্থা দূর হয়েছে।