অবৈধভাবে ধান-চাল মজুতের দায়ে নওগাঁয় গত ৩ দিনে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলার নিয়ামতপুর, মান্দা ও মহাদেবপুরে মজুতবিরোধী অভিযানে ওই সব প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
আজ বিকেলে মান্দা উপজেলার তিনটি আড়তের গুদামে অভিযান চালিয়ে এক হাজার মেট্রিক টন অবৈধ ধান মজুতের প্রমাণ পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই তিন আড়তের মালিকদের ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা আনজুমান্দ বানু ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মান্দা উপজেলার কালীতলা বাজার এলাকায় তারামন ট্রেডার্স নামের একটি ধানের আড়তে নির্দেশিত ধারণক্ষমতার চেয়ে ১০০ টন অবৈধ ধানের মজুত পাওয়া যায়। ছয় মাস ধরে মজুত করায় ওই আড়তের মালিক সিদ্দিকুর রহমানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই এলাকায় শেখ ট্রেডার্স নামের আড়তের গুদামে ২০০ মেট্রিক টন ধান অবৈধভাবে মজুত করায় আড়তমালিক আবদুল কুদ্দুসকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া হাজী ট্রেডার্স নামের একটি আড়তে ৭০০ মেট্রিক টন ধান অবৈধভাবে মজুত করায় প্রতিষ্ঠানের মালিককে ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত। মজুত করা ধান চার কার্যদিবসের মধ্যে বাজারে বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে মঙ্গল ও বুধবার নিয়ামতপুর ও মহাদেবপুরে মজুতবিরোধী অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে ধান-চাল মজুত করায় ৭টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন সংশ্লিষ্ট ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসক মো. গোলাম মওলা প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক দিন ধরে হঠাৎ চালের দাম বাড়ছে। বেশ কিছু মিলমালিক ও আড়তদার অবৈধভাবে ধান-চাল মজুত করে চালের দাম বাড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ আসছিল। এ জন্য চালকল ও ধানের আড়তের গুদামে অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, নির্দেশিত ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি ধান-চাল মজুত করায় কৃষি বিপণন আইন, ২০০৮–এর ১৯(১)–এর ঠ ও ড ধারা মোতাবেক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হচ্ছে। এ ছাড়া যেসব ব্যবসায়ী নিবন্ধন ছাড়া ধান-চালের ব্যবসা করছেন, তাঁদের গুদাম সিলগালা করা হচ্ছে।