মতলব উত্তরের সাদুল্লাপুর

জন্মনিবন্ধনের জন্য বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ

  • সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে ওই ব্যক্তি নির্ধারিত হারের কয়েক গুণ বেশি অর্থ আদায় করেন।

  • গত সোমবার একাধিক ব্যক্তি ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেন।

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সচিব জুবায়ের হোসেনের বিরুদ্ধে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান, সনদে নাম ও বয়স সংশোধনের কাজে সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার এ ব্যাপারে একাধিক ব্যক্তি ওই ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেন।

ওই ইউপির কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নিয়ম অনুযায়ী, ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুর জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদানে ২৫ এবং ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশু ও অন্যান্য লোকের ক্ষেত্রে ৫০ টাকা ফি দিতে হয়। এ ছাড়া সদ্যোজাত থেকে ৪৫ দিন বয়সী শিশুর জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদানে সেবাপ্রার্থীর কোনো ফি লাগে না।

গত সোমবার এ ব্যাপারে একাধিক ব্যক্তি ওই ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দেন।

উপজেলার চান্দ্রাকান্দি গ্রামের আবদুল আজিজ অভিযোগ করে বলেন, তাঁর জন্মনিবন্ধন সনদে একটি বানান ভুল ও বয়সের হেরফের রয়েছে। সেগুলো সংশোধনের জন্য কয়েক দিন আগে তিনি ওই ইউপির সচিবের কাছে গেলে তিনি তাঁর কাছ থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে তিন হাজার টাকা দাবি করেন। অনেক দর–কষাকষি করে তাঁকে ২ হাজার ২০০ টাকা দেন। এরপরও তাঁর কাজটি করে দিচ্ছেন না। এ ছাড়া জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদানে এলাকার অনেক সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকে ওই ব্যক্তি নির্ধারিত হারের কয়েক গুণ বেশি অর্থ আদায় করেন। এ ব্যাপারে ওই ইউপির চেয়ারম্যানের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেছেন। পরে লিখিত অভিযোগ দেবেন।

উপজেলার বেলতলী গ্রামের গৃহবধূ সোনিয়া আক্তার অভিযোগ করে বলেন, তাঁর বাচ্চার জন্মনিবন্ধন সনদের জন্য দুই দিন আগে ওই ইউপিতে যান। সেখানকার সচিব তাঁর কাছ থেকে ৫০ টাকার পরিবর্তে ৫০০ টাকা আদায় করেন। সেখানে কয়েক ঘণ্টা তাঁকে বসিয়েও রাখা হয়। সময়ের অপচয় ও ভোগান্তি পোহাতে হয়। সোনিয়া আরও বলেন, তাঁর মতো এভাবে তাঁর এলাকার অনেক সেবাপ্রার্থীর কাছ থেকেই ওই সচিব এসব কাজে বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। টাকা না দিলে কাজ করছেন না। বিষয়টি ওই ইউপির একজন সদস্য ও চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন।

ইউপি সচিব জুবায়ের হোসেন বলেন, জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদান, নাম ও বয়স সংশোধনের কাজে সরকার নির্ধারিত ফি নেওয়ার কথা থাকলেও পরিষদের আনুষঙ্গিক খরচ বাবদ তিনি কিছু বাড়তি টাকা নিচ্ছেন। এতে দোষের কিছু দেখছেন না।

এ ব্যাপারে ইউপির চেয়ারম্যান জোবায়ের আজিম পাঠান বলেন, তাঁর পরিষদের সচিবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কাজে বাড়তি অর্থ আদায়ের অভিযোগ পেয়েছেন। এ নিয়ে তাঁকে একাধিকবার সতর্ক করেও কাজ হচ্ছে না। তাঁকে বদলির জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে সম্প্রতি আবেদন করেছেন। তিনি বিষয়টি কঠোরভাবে দেখবেন।