ফরিদপুরের নগরকান্দায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত (ওয়ারেন্ট) এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল অনিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলা করার অভিযোগ। এ ঘটনায় পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ওই আসামি হলেন উপজেলার মানিকনগর গ্রামের মোচেন মোল্লার ছেলে রোকন মোল্লা (৪২)। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন রোকন মোল্লার ভাই মালেক মোল্লা (৫৫), ভাতিজা ওবায়দুর মোল্লা (১৮) ও রণি মোল্লা (১৮), মামাতো ভাই বাবু মোল্লা (২৭) এবং ভাগনি জামাই লিটু মোল্লা (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোকন মোল্লা (৪২) দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এ ঘটনায় তাঁর প্রথম স্ত্রী রেহানা বেগম যৌতুকের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। রোকন মোল্লা দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) জারি করা হয়।
রোকন মোল্লার মা পাচি খাতুন (৬৭) গত রোববার রাতে মারা যান। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাচি খাতুনের দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে পলাতক রোকন বাড়িতে আসেন। দাফন শেষ হওয়ার পর পুলিশ রোকন মোল্লাকে আটক করে। এ সময় রোকন মোল্লার স্বজনদের সঙ্গে পুলিশের কথা–কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। তখন রোকন মোল্লা পালিয়ে যান। পরে ওই সোমবার বিকেলে থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে রোকনের পাঁচ স্বজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের নামে মামলা করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগরকান্দা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সরোয়ার হোসেন বলেন, ওই পাঁচজনকে আজ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। পরে তাঁদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।