২১ মাস আইনি লড়াইয়ের পর আদালতে প্রমাণিত হয়েছে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী নুরুল হাসানই জয়ী হয়েছেন। এর আগে গত বছরের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তাঁকে এক ভোটে পরাজিত দেখানো হয়। আদালতে ভোট গণনা শেষে গতকাল সোমবার প্রমাণ মেলে, তিনি ৫৩৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নির্বাচন গত বছরের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রার্থী ছিলেন ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল হাসান ও ইসলাম উদ্দিন। নির্বাচনের ফলাফলে দেখানো হয়, ইসলাম উদ্দিন ১ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তিনি পান ১ হাজার ৮৪ ভোট, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুরুল হাসান পান ১ হাজার ৮৩ ভোট। কিন্তু এ ফলাফল মেনে নেননি নুরুল হাসান। ফলাফল চ্যালেঞ্জ করে তিনি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও হবিগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেন।
মামলার প্রায় ২১ মাস পর সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে গতকাল সোমবার দুপুরে নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল জজ ও হবিগঞ্জ সিনিয়র সহকারী জজ সবুজ পাল এ রায় ঘোষণা করেন। এদিন আদালতের এজলাসেই ভোট গণনার আদেশ দেন বিচারক। গণনা শেষে দেখা যায়, ১ ভোটে পরাজয় দেখানো পাখা প্রতীকের প্রার্থী নুরুল হাসান ভোট পেয়েছিলেন ১ হাজার ২৯৬টি। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বা জয়ী ঘোষণ করা ইসলাম উদ্দিন পান ৭৬৩ ভোট। পরে আদালত নুরুল হাসানকে ৫৩৩ ভোটে জয়ী ঘোষণা করেন।
প্রথম আলোকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন মামলার বাদীর আইনজীবী মো. জসীম উদ্দিন।
আদালতের আদেশে বিজয়ী নুরুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফলাফল জালিয়াতি করে আমাকে ২১ মাস জনগণের সেবা করা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যাঁদের দ্বারা এ ফলাফল জালিয়াতি হয়েছে, তাঁদের শাস্তির দাবি করি।’ তিনি বলেন, আদালত মানুষের শেষ ভরসাস্থল। আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ রায়ে তিনি খুশি।