লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় শিশু মো. আহমেদকে (৩) হত্যার দায়ে সৎমা কোহিনুর বেগমকে (২৬) ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
রায়ের সময় কোহিনুর আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি রামগঞ্জ উপজেলার উত্তর দরবেশপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের মেয়ে। মামলার বাদী কোহিনুরের স্বামী মিরণ হোসেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রায়চৌ গ্রামের হাবিব মিয়ার ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে মিরণের প্রথম স্ত্রী শারমিন আক্তারের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়। আহমেদ মিরণের প্রথম সংসারের ছেলে। কিছুদিন পর মিরণ রামগঞ্জের কোহিনুরকে বিয়ে করেন। ছেলে আহমেদ ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি নিজ এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। ২০২২ সালের ২২ জুলাই স্ত্রী-সন্তানকে রেখে তিনি কর্মস্থল ঢাকায় চলে যান। ১০ আগস্ট আহমেদকে নিয়ে কোহিনুর রামগঞ্জের দরবেশপুরে তাঁর বাবার বাড়ি যান। সেখান থেকে গত ২৭ আগস্ট কোহিনুর তাঁর স্বামীর বাসায় আসেন। এরপর মিরণকে তিনি বলেন যে আহমেদকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ঘটনায় কোহিনুরকে আটক করা হয়। কোহিনুর তখন বলেন, ২৬ আগস্ট রাত দুইটার দিকে পেটে লাথি দিলে আহমেদ মারা যায়। পরে খাটের নিচে গর্ত করে লাশটি পুঁতে রাখেন তিনি। ২৯ আগস্ট দরবেশপুরে কোহিনুরের বাবার বাড়ির শোবার ঘরের খাটের নিচ থেকে আহমেদের লাশটি উদ্ধার করা হয়।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বলেন, রামগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিশ্বাস আদালতে আসামি কোহিনুরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন।