নরসিংদীতে কাভার্ড ভ্যান-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে আহত আরও দুজনের মৃত্যু

নরসিংদীর মাধবদীতে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় আহতদের সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়
ছবি: প্রথম আলো

নরসিংদীর মাধবদীতে কাভার্ড ভ্যান ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত আরও দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁদের মৃত্যু হয়।

নিহত দুই ব্যক্তি হলেন বাবুল মিয়া (৩৮) ও ফালান মিয়া (৩৫)। তাঁদের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার জালালপুর গ্রামে। তাঁদের নিয়ে এই দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়াল ছয়। এর মধ্যে চারজনই জালালপুর গ্রামের বাসিন্দা।

নিহত অপর চারজন হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের জালালপুর গ্রামের হেলাল মিয়া (৩২) ও মজিবুর মিয়া (২৫) এবং সিরাজগঞ্জ শহরের বাগবার এলাকার মীম আক্তার (২০) ও আবু হুরায়রা (৯)। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নানির বাড়িতে ঈদ করতে মীম ও আবু হুরায়রাকে সিরাজগঞ্জ থেকে এনেছিলেন মামা মজিবুর মিয়া।

গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে মাধবদীর টাটাপাড়ার এমএমকে ডাইংয়ের সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই এক শিশু নিহত হয়। আহত অপর ব্যক্তিদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও তিনজন মারা যান। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। তাঁরা সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী ছিলেন।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে হেলাল মিয়া, মজিবুর মিয়া, মীম আক্তার ও আবু হুরায়রার লাশ তাঁদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, মাইক্রোবাসটিতে নারী-শিশুসহ মোট ১৪ জন যাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে যাচ্ছিলেন। অপর দিকে সিমেন্টবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। মাধবদীর টাটাপাড়া এলাকার এমএমকে ডাইংয়ের সামনে গাড়ি দুটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

আহত ব্যক্তিরা জানান, মাইক্রোবাসটিতে করে তাঁরা সবাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের জালালপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন। তাঁরা ঢাকার খিলক্ষেত ও উত্তরা এলাকায় পর্দার ব্যবসা করেন। তাঁরা সবাই একই এলাকার লোক হওয়ায় একসঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছিলেন।

জানতে চাইলে ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াছ হোসেন বলেন, এ নিয়ে ওই দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের ছয়জন যাত্রী মারা গেলেন। এ ঘটনায় আহত আরও ছয় যাত্রী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুমড়েমুচড়ে যাওয়া মাইক্রোবাস ও কাভার্ড ভ্যানটি হাইওয়ে থানায় এনে রাখা হয়েছে।