কুমিল্লায় মেয়র প্রার্থী তাহসীন বাহারের কর্মী এক ছাত্রলীগ নেতা অপর মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজামউদ্দিনের দুই কর্মীকে গুলি করেন। আজ সকাল ১০টার দিকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সী এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে
কুমিল্লায় মেয়র প্রার্থী তাহসীন বাহারের কর্মী এক ছাত্রলীগ নেতা অপর মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ নিজামউদ্দিনের দুই কর্মীকে গুলি করেন। আজ সকাল ১০টার দিকে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সী এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে

তাহসীনের কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিজামের দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে নগরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ভোটকেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁরা ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ নিজামউদ্দিনের সমর্থক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সংঘর্ষের একপর্যায়ে সকাল ১০টায় নগরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সী এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে মেয়র প্রার্থী নিজামের কর্মী জহিরুল আহমেদ ও তুহিনকে গুলি করেন মহানগর ছাত্রলীগের এক নেতা। আহত জহিরুল ও তুহিনকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এই ঘটনায় আহত জহিরুল আহমেদ বলেন, ‘ভোট ক্যাম্পের পাশে আমি দাঁড়িয়ে ছিলাম। বাস প্রতীকের মেয়র প্রার্থী তাহসীন বাহারের কর্মী মহানগর ছাত্রলীগ নেতা সুজন আমাকে ও তুহিনকে পুলিশের সামনেই গুলি করেন।’

ঘোড়া প্রতীকের মেয়র প্রার্থী নিজামউদ্দিন বলেন, ‘বাস প্রতীকের প্রার্থী তাহসীন বাহারের কর্মী-সমর্থকেরা ভোট দিতে আসতে দিচ্ছেন না ভোটারদের। বিভিন্ন স্থানে তাঁরা আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছেন। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সী এম আলী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আমার কর্মীরা। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।’

অভিযোগ অস্বীকার করে বাস প্রতীকের প্রার্থী তাহসীন বাহার বলেন, ‘এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমার নেতা-কর্মীরা কারও ওপর হামলা চালাননি। উল্টো আমার এক কর্মী হাসপাতালে। তাঁকে দেখতে যাচ্ছি।’

এই ঘটনায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হাসান আহমেদ বলেন, ‘ঘটনাটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে ঘটেছে। আমি বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেটকে জানিয়েছি।’

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘অভিযোগ শুনেছি। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’