দুই দিনের টানা বর্ষণে খাগড়াছড়িতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে পাহাড়ধস। জেলা শহরের শালবন, কলাবাগান ও কুমিল্লা টিলা এলাকায় বসতঘরের পাশে পাহাড়ধস হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বন্যাকবলিত পরিবারগুলোর জন্য আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ‘পাহাড়ধসের আশঙ্কা আছে, এমন এলাকায় আমাদের কর্মকর্তারা এবং আমি নিজে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করেছি। তারপরও অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে ইচ্ছুক নন। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।’
আজ মঙ্গলবার সকালে খাগড়াছড়ি শহরের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায়, চেঙ্গী নদী, খাগড়াছড়ি ছড়া ও মধুপুর ছড়ার পানি বেড়ে মুসলিমপাড়া, কালাডেবা, বটতলী, গঞ্জপাড়া, শব্দমিয়াপাড়া, ফুটবিল, এপিবিএন, মিলনপুর, খবংপুড়িয়াসহ কয়েকটি এলাকার বাড়িঘর ডুবে গেছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, পানিবন্দী মানুষের জন্য রান্না করা খাবার, শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। বন্যাকবলিত পরিবারের জন্য বর্তমানে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনে আশ্রয়কেন্দ্র বাড়ানো হবে। এ ছাড়া পানিবন্দী মানুষের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে টানা বর্ষণে মাইনী নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেডকোয়ার্টার, জোড়াব্রিজসহ চারটি এলাকায় রাস্তা ডুবে যাওয়ায় রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজারও। টানা বর্ষণে দীঘিনালার মেরুং ও কবাখালী ইউনিয়নের প্রায় ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মামুনর রশিদ বলেন, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোয় ২১টি আশ্রয়কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন আসতে শুরু করেছে। তাদের প্রাথমিকভাবে শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ পানি দেওয়া হয়েছে। পরে রান্না করা খাবার দেওয়া হবে।