টাঙ্গাইলের যুগ্ম জেলা জজ আদালতের নির্দেশে সখীপুর উপজেলার বহেড়াতৈল সদর বিট কার্যালয় উচ্ছেদ করে বন বিভাগের দখলে থাকা জমি এর মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মামলার ৩৭ বছর পর গতকাল রোববার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে এ জমি বুঝে পান মালিক নুরুল ইসলাম। এ সময় বুলডোজার দিয়ে বন বিভাগের ওই অফিস ও আবাসিক ভবন গুঁড়িয়ে দিয়ে ৩ একর ৬৮ শতাংশ জমি তাঁকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ, বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার বহেড়াতৈল মৌজার ২৪৮ ও ২৪৯ দাগে বহেড়াতৈল গ্রামের নুরুল ইসলাম ও তাঁর ভাইদের নামে ৩ একর ৬৮ শতাংশ রেকর্ড সম্পত্তি রয়েছে। স্বাধীনতার পর বন বিভাগ ওই জমিতে টিন দিয়ে ঘর তৈরি করে বহেড়াতৈল রেঞ্জের অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করে। ১৯৮০ সালে ওই জমিতে বন বিভাগের অফিস ও কর্মকর্তাদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়।
এরপর ১৯৮৫ সালে বন বিভাগের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ মামলা করেন নুরুল ইসলাম ও তাঁর ভাইয়েরা। ৩৭ বছর মামলা চলার পর আদালতের নির্দেশে গতকাল বুলডোজার দিয়ে বন বিভাগের কার্যালয় ও কর্মকর্তাদের বাসা ভেঙে দিয়ে ওই জমি এর মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
দখল বুঝে নেওয়া ৭৫ বছর বয়সী নুরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘৩৭ বছরে আদালত, উচ্চ আদালতে আইনজীবীদের পেছনে প্রায় ৫০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। শেষ বেলায় জমির মালিকানা ফিরে পেয়েছি, এটাই আনন্দ।’
টাঙ্গাইল বন বিভাগের বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ মুঠোফোনে বলেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি।’ এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।