কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

সংঘর্ষের ছবি তোলায় সাংবাদিকদের ওপর ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ কর্মীদের হামলায় আহত দুই সাংবাদিককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
ছবি: সংগৃহীত

ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ছবি তোলায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আজ সোমবার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আজ সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের একটি কক্ষের আসন দখল করা নিয়ে ছাত্রলীগের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দূর থেকে এ সংঘর্ষের ঘটনার ছবি ও ভিডিও নেওয়ায় ছাত্রলীগের কর্মীরা সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে হামলা করেন বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সাংবাদিক ও প্রত্যক্ষদর্শী।

ছাত্রলীগের হামলায় আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই সাংবাদিক হলেন দৈনিক যায়যায়দিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আহসান হাবীব এবং আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি ফাহাদ বিন সাইদ। তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ছাত্রলীগের কমিটি নেই। তবে ছাত্রলীগের কর্মীরা দুটি পক্ষে বিভক্ত। এক পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলামের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। আজ সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের একটি কক্ষ দখল করা নিয়ে রাকিবুলের অনুসারীদের সঙ্গে প্রতিপক্ষের কর্মীদের  সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই সময় কিছুটা দূরে অবস্থিত অপর একটি ভবনের তিনতলার সাংবাদিক সমিতির কার্যালয় থেকে সাংবাদিকেরা সংঘর্ষের ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করছিলেন। এতে সংঘর্ষে জড়িত ছাত্রলীগের কর্মীরা সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে গিয়ে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জি প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের বর্তমানে কমিটি নেই। তবে শুনেছি ছাত্রলীগের কর্মীরা সাংবাদিকদের ওপর হামলা করে। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত ছাড়া কারা হামলা করেছে সেটি জানা যাবে না।’

জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বর্তমানে ক্যাম্পাসে যাই না। কী ঘটনা ঘটেছে সেটি জানি না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হ‌ুমায়ূন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনার তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা হবে। ঘটনার পর উপাচার্য সৌমিত্র শেখর আহত ব্যক্তিদের দেখতে যান। তিনিও সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।