মাত্র ৩০ সেকেন্ডে যেকোনো মোটরসাইকেলের ঘাড়ের তালা খুলে ফেলতে পারেন মোহাম্মদ আলী। চাবি হাতে নিয়ে শহরে শহরে ঘুরে বেড়ান তিনি। সুযোগ পেলেই তালা খুলে মোটরসাইকেল নিয়ে চম্পট দেন। এভাবে ঝিনাইদহ শহর থেকে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরি করেছেন তিনি। সহযোগীদের নিয়ে গোটা খুলনা বিভাগে তিনি এ কাজ করেন।
দুজন সহযোগীসহ সেই মোহাম্মদ আলী এখন পুলিশের খাঁচায়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ। এ সময় মনিরুজ্জামান ও হেলাল উদ্দিন নামের আরও দুজনকে আটক করা হয়। মোহাম্মদ আলী ও মনিরুজ্জামানের বাড়ি শ্যামনগরে আর হেলাল উদ্দিনের বাড়ি খুলনার দাকোপ উপজেলায়।
সকালে সদর থানা চত্বরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মীর আবিদুর রহমান। তিনি বলেন, ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন মার্কেট ও বাসাবাড়িতে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে থানায় মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ভুক্তভোগীরা। চুরির ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজ দেখে পুলিশ চোর চক্রের প্রধান মোহাম্মদ আলীকে শনাক্ত করে। বিভিন্ন জায়গায় তাঁর ছবিসহ পোস্টার সাঁটিয়ে তাঁকে ধরা যাচ্ছিল না।
মীর আবিদুর রহমান আরও বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন পর গতকাল রাতে আন্তবিভাগীয় চোর চক্রের প্রধান মোহাম্মদ আলীকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চোর চক্রের আরও দুই সদস্যকে আটক করা হয়। এ সময় চুরি হওয়া তিনটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলায় ১৫টি মামলা আছে। ওই সব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দিন বলেন, মোহাম্মদ আলী মোটরসাইকেল চুরির কাজে খুবই দক্ষ। মাত্র ৩০ সেকেন্ডে তিনি যেকোনো তালা খুলে মোটরসাইকেল নিয়ে যেতে পারেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে মোটরসাইকেল চুরি কিছুটা হলেও রোধ করা যাবে তিনি মনে করেন।