র্যাগিংয়ে জড়িত অভিযোগে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁদের এক সেমিস্টারের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে এবং আবাসিক হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে অপর দুই শিক্ষার্থীকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মামুনুর রশীদ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বহিষ্কারসংক্রান্ত চিঠি গত ২৭ সেপ্টেম্বর ওই দুই শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। বহিষ্কৃত দুই শিক্ষার্থী হলেন রাকিবুল হুদা তাজমুল ও আবদুল্লাহ আল মামুন। দুজনেই কৃষি অনুষদের ২২ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
প্রক্টর মামুনুর রশিদ বলেন, র্যাগিং একটি অপসংস্কৃতি। র্যাগিংয়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর অবস্থানে আছে। যাঁরা র্যাগিং অপসংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসংলগ্ন অনুপম ছাত্রাবাসে র্যাগিং হচ্ছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালায় প্রক্টরিয়াল প্রতিনিধিদল। ঘটনাস্থলে ২৩ ব্যাচের নবীন এক শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের তথ্যপ্রমাণ পায় দলটি। পরে বিষয়টি র্যাগিং প্রতিরোধ মূল কমিটির সভায় উত্থাপন করা হয়। ওই দুই শিক্ষার্থী র্যাগিংয়ে জড়িত থাকায় শাস্তির সুপারিশ করে কমিটি। সেই সুপারিশের ভিত্তিতে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
র্যাগিংয়ের শিকার হয়ে নবীন ওই শিক্ষার্থী তাঁর নিজ জেলা নারায়ণগঞ্জে ফিরে গিয়ে গত সোমবার রাতে ‘সুইসাইড নোট’ লিখে ফেসবুকে পোস্ট দেন। বিষয়টি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ওই শিক্ষার্থী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস পেয়ে আগামী রোববার ছেলেকে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন তাঁর মা।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট একই অপরাধে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় শিক্ষার্থীকে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়। সে সময় তিন শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়।