নিকলী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোকারম সরদার
নিকলী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোকারম সরদার

নিকলী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গ্রেপ্তারের পর জামিনে মুক্ত

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদের ‘ঘনিষ্ঠ’ হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মোকারম সরদারকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী। গত শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার আলীগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মোকারম সরদার কিশোরগঞ্জের নিকলী থানার দামপাড়ার বাসিন্দা। তাঁকে একটি চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সোমবার বিকেলে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেপ্তার মোকারম সরদারকে ফতুল্লা মডেল থানা–পুলিশ আদালতে পাঠায়। মামলার বাদী আদালতে আপসনামা দাখিল করায় শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. বদিউজ্জামান তাঁকে জামিনে মুক্তি দেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদ, মোকারমসহ ১১ জনকে আসামি করে জনৈক শাহ আলম ২০ লাখ টাকা ছিনতাই ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ২ অক্টোবর ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ওই ঘটনা ঘটে বলে দাবি বাদীর। ওই সময় হারুন অর রশীদ নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই মামলায় যৌথ বাহিনী মোকারমকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নব্বয়ের দশকে কিশোরগঞ্জ থেকে মোকারম সরদার নারায়ণগঞ্জে এসে লোড-আনলোডের কাজ শুরু করেন। পরবর্তী সময় তিনি শ্রমিকনেতা বনে যান। হারুন অর রশীদ নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার হয়ে এলে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। জাহাজে মালামাল লোড-আনলোড ও চোরাইপণ্যের সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন মোকারম। হারুন অর রশীদও মোকারমের অফিসে আসা–যাওয়াও করতেন। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের অবৈধ টাকার কেয়ারটেকার ছিলেন মোকারম। গত ২১ মে অনুষ্ঠিত নিকলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হারুন অর রশীদের ‘আশীর্বাদে’ মোকারম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন বলে অভিযোগ রয়েছে।