তালা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে দুই শিক্ষার্থীর বাল্যবিবাহ বন্ধ

বাল্যবিবাহ
প্রতীকী ছবি

 সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় দশম শ্রেণির এক ছাত্রী ও এইচএসসির এক ছাত্র বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে। উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে আজ সোমবার দুপুরে তাদের বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়।

তালা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান, উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নে চলমান এসএসসি পরীক্ষার এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহের তোড়জোড় চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আজ দুপুর ১২টার দিকে তালা মহিলা অধিদপ্তরের জেন্ডার প্রমোটার নাজমুল হাসান ও তালা থানার উপরিদর্শক (এসআই) ইমন হাসানের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারা সেখানে গিয়ে শোনে ছাত্রীকে পড়ার টেবিল থেকে জোর করে তুলে নিয়ে অভিভাবকেরা পার্শ্ববর্তী গ্রামে বরের বাড়িতে নিয়ে গেছেন। তাঁরা সেখানে গিয়ে দেখেন বাল্যবিবাহের তোড়জোড় চলছে।

নাজমুল হাসান ও ইমন হাসানসহ অন্যরা ঘটনাস্থলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিভাবকেরা ছাত্রীকে লুকিয়ে ফেলেন। চেষ্টা করেও ওই ছাত্রীকে পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে বরসহ তার বাবা-মাকে আটক করে নিয়ে আসা হয় তালা উপজেলা পরিষদে। সেখানে বরপক্ষ বিয়ের আয়োজনের কথা স্বীকার করে মুচলেকা দেয়, ওই মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তাদের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেবে না। এমনকি ১৮ বছরের আগে যদি ছাত্রীর অভিভাবক কোথাও বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন, তারা প্রশাসনকে জানাবে।

নাজমুন নাহার আরও জানান, তাঁরা জানতে পারেন আজ দুপুরে মাগুরা ইউনিয়নে ১৯ বছর এইচএসসি পরীক্ষার্থী এক ছেলের খুলনার ডুমুরিয়া ইউনিয়নে এক ছাত্রীর সঙ্গে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে। বরযাত্রীরা বিয়েতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন খবর পাওয়ার পর আড়াইটার দিকে কিশোর-কিশোরী ক্লাবের আবৃত্তি শিক্ষক আসাদুল ইসলাম ও তালা থানার পরিদর্শক ইমন হাসানের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন বরসহ বরযাত্রী ডুমুরিয়ায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। এ সময় বরের জন্মসনদ দেখেন বয়স ১৯ বছর। বরসহ তাঁর অভিভাবকদের তালা উপজেলা পরিষদে নিয়ে আসা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য মইনুল ইসলাম ও বরের মা মুচলেকা দিয়ে বলেন, ওই ছেলেকে ২১ বছর বয়সের আগে বিয়ে দেবেন না।