কক্সবাজারের চকরিয়ায় নানি শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে জনতার হাতে আটক মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ । গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ব নয়াপাড়া এলাকায়
কক্সবাজারের চকরিয়ায় নানি শাশুড়িকে হত্যার অভিযোগে জনতার হাতে আটক মাদ্রাসা শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ । গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ব নয়াপাড়া এলাকায়

লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে নানিশাশুড়িকে হত্যা করলেন মাদ্রাসাশিক্ষক

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ব নয়াপাড়া এলাকায় গোলতাজ বেগম (৫৫) নামে এক নারীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার এই ঘটনা ঘটে। নিহত গোলতাজ বেগম চকরিয়া খুটাখালী ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার আবুল কাশেমের স্ত্রী। ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (২৮) নামের এক মাদ্রাসাশিক্ষককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।

মোহাম্মদ আবদুল্লাহ কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব গোমাতলী বার আউলিয়া পাড়া এলাকার মো. জাকারিয়ার ছেলে। তিনি নিহত গোলতাজ বেগমের নাতনি নাইরা জান্নাতের স্বামী ও কক্সবাজার শহরের তারাবনিয়ারছড়া দারুল কোরআন হেফজখানার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

পুলিশ হেফাজতে আবদুল্লাহ বলেন, ২০২৩ সালের ৩ মার্চ গোলতাজ বেগমের নাতনি নাইরা জান্নাতকে বিয়ে করেন তিনি। দুই মাস আগে মনোমালিন্যের কারণে নাইরা খুটাখালীতে বাবার বাড়িতে চলে যান। এ ঘটনার জেরে ধরে নানিশাশুড়ি গোলতাজ বেগমের সঙ্গে মুঠোফোনে আবদুল্লাহর কথা কাটাকাটি হয়। এরপর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁর ঘরের আসবাবও নিয়ে যান। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে গোলতাজ বেগমের সঙ্গে তাঁর তর্কাতর্কি হয়। এ সময় রেগে গিয়ে তাঁর মাথায় লোহার রড দিয়ে তিনি তিনবার আঘাত করেন।

খুটাখালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য জিশান শাহরিয়ার ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্ত্রীকে আটকে রাখার জের ধরে সোমবার বিকেলে নানিশাশুড়ি গোলতাজ বেগমের সঙ্গে আবদুল্লাহর তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে আবদুল্লাহ লোহার রড দিয়ে গোলতাজ বেগমের মাথায় আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আটটার দিকে গোলতাজ বেগম মারা যান।

জানতে চাইলে চকরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, নানিশাশুড়িকে মাথায় আঘাত করে খুন করার দায়ে আবদুল্লাহকে আটক করা হয়েছে। লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।